November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular রোজনামচা

করোনা : সবার শরীরে বীজ বুনেই উৎখাত সম্ভব এই বৃষ বৃক্ষের  !

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

রোনাভাইরাসের দখলে গোটা দুনিয়া। যত না আক্রান্ত তার থেকেও বেশি আতঙ্কে। লকডাউন, হোম আইসোলেশন কোন কিছু করেই যেন আটকানো যাচ্ছে না নভেল করোনাকে। যদিও এর জন্ম লগিন থেকেই সুরক্ষার সঠিক উপায় খুঁজে বেড়াচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, একজন ব্যক্তি যদি শরীরে এন্টিবডি ডেভেলপ করেন তবে তিনি করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে পারেন, আর তা হতে পারে একটি টীকার মাধ্যমে। কিংবা আক্রান্ত হওয়ার পরও এন্টিবডির কারণে সেরে উঠবেন।

তাদের মতে, রোগটাকে তার মতো ছেড়ে দিতে হবে, ফলে সমাজের সবাই বা বিপুল সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হবে। কিন্তু শরীরে এন্টিবডি ডেভেলপ করলে তাদের অনেকে সুস্থ হয়ে যাবে আবার অনেকে আক্রান্তও হবে না। এভাবে যথেষ্ট পরিমাণ মানুষ যদি নিজেদের সুরক্ষিত করতে পারেন তা হবে ‘হার্ড ইমিউনিটি’ বা সমষ্টিগত রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা। যা পুরো জনসংখ্যার মাঝেই ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে। এভাবে পুরো জাতি বা দেশকে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে সুরক্ষিত বা নিরাপদ করা যেতে পারে। এটিই হবে কার্যকর উপায়।

এন্টিবডির টিকা যদি দেশজুড়ে বিতরণ করা যায় তাহলে হার্ড ইমিউনিটি সম্ভব হবে। তবে এ জন্য আরো কমপক্ষে ১৮ মাস সময় লাগতে পারে। এ বিষয়ে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের কোচেয়ার মেলিন্ডা গেটস বলেন, ‌‌‌‌’আপনি হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করতে পারবেন না যতক্ষণ না জনসংখ্যার একটি বিশাল অংশের মধ্যে রোগটি বিদ্যমান থাকে। কারণ এ মূহুর্তে বিপুল সংখ্যক মানুষ মারা যাচ্ছে। ফলে হার্ড ইমিউনিটির পরীক্ষা- নিরীক্ষা এখন করা যাবে না। রোগটি যখন একেবারে শেষ পর্যায়ে চলে আসবে তখন এটি হতে পারে।’

কোন কোন বিশেষজ্ঞ একটি টিকার মাধ্যমে হার্ড ইমিউনিটি অর্জনের পথে এগোনোর পরামর্শ দিচ্ছেন। আমেরিকার ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির এপিডেমিওলোজি অ্যান্ড বায়োস্ট্যাটিসটিকস এর অধ্যাপক ড. গ্রেটা বয়ার বলেন, ‘এ মূহুর্তে আমাদের প্রচলিত এ পদ্ধতিগুলো দিয়েই রোগের বিস্তার রোধ করতে হবে। পরবর্তীতেতে আমরা হার্ড ইমিউনিটিতে যেতে পারি। সেটা আমরা ধীরে ধীরে যেতে পারি কিংবা একটি কার্যকর টীকার মাধ্যমে  এগোতে পারি।’

এদিকে বেইজিংয়ে বিজ্ঞানীদের একটি দল বেশকিছু এন্টিবডি (ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংসকারী পদার্থ) আলাদা করে দাবি করেছেন নতুন করোনা ভাইরাস ঠেকাতে এটি ‘অত্যন্ত কার্যকর’ হবে। বিজ্ঞানীদের দাবি করোনা ভাইরাস মানবসেল বা জীবকোষে প্রবেশের আগেই আটকে দেবে এ ওষুধ। সব পরীক্ষা ঠিকঠাক হলে কভিড-১৯ চিকিৎসায় এ ওষুধ যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে।

জ্যাংগ লিংকির নেতৃত্বাদীন গবেষক দলটি জানায়, গত জানুয়ারিতে সেনঝেনের একটি হাসপাতালে এ নিয়ে গবেষণা শুরু হয়। কভিড-১৯ চিকিৎসায় সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের শরীর থেকে রক্ত নিয়ে সেখান থেকে এন্ডিবডি বিশ্লেষণ করা হয়। তা থেকে আলাদা করা বেশকিছু এন্ডিবডি এ রোগের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রমাণিত হয়।

Related Posts

Leave a Reply