বুড়িয়ে যাওয়ার কথা আর ভুলেও ভাববেন না কখনো!
কলকাতা টাইমসঃ
মানুষের বুড়ো হয়ে যাওয়া প্রতিরোধে নতুন এক চিকিৎসা পদ্ধতি উদ্ভাবিত হতে চলেছে। যার প্রয়োগে মানুষের আয়ু ১৫০ বছর পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে। এককথায় বেঁচে থাকাটা এখন আর কোনো বড়ো ব্যাপার নয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডেভিড সিনক্লেয়ার এবং অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এমন একটি প্রক্রিয়ার উদ্ভাবন করেছেন যার মাধ্যমে মানবদেহের কোনো কোষকে পুনরুজ্জ্বীবিত করা যাবে। ড, সিনক্লেয়ার বলেন, এই চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করে মানবদেহের হারানো কোনো অঙ্গও নতুন করে সৃষ্টি করা যাবে। এমনকি প্যারালাইস হয়ে যাওয়া রোগীরাও পুনরায় হাটাচলা করতে পারবেন।
আগামী ২ বছরের মধ্যেই মানুষের ওপর এই চিকিৎসা পদ্ধতির কার্যকারিতা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হবে। নতুন এই চিকিৎসা পদ্ধতির পেছনের বিজ্ঞানটি হলো নিকোটিনামাইড অ্যাডেনিন ডিনিউক্লিওটাইড (এনএডি) নামের একটি মলিকিউল বা অণু-জীবকোষ। এনএডি মূলত মানবদেহে শক্তি উৎপাদনে সহায়ক ভুমিকা পালন করে। এই রাসায়নিকটি ইতোমধ্যেই পারকিনসনস রোগ এবং অত্যাধিক ক্লান্তির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়েছে।
অধ্যাপক সিনক্লেয়ার নিজেও নিজের মলকিউল ব্যবহার করে বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধের ওষুধ সেবন করেছেন। এর ফলে তার নিজের দৈহিক বয়স ২৪ বছর কমে এসেছে বলে দাবি করেছেন তিনি। তার ৭৯ বছর বয়সী বাবাও গত দেড় বছর ধরে এই চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগের পর পুনরায় তারুণ্য ফিরে পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন অধ্যাপক সিনক্লেয়ার। তিনি আরো দাবি করেছেন, এমনকি তার এক শ্যালিকাও একই চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করে মেনোপোজ শুরু হওয়ার পরও পুনরায় সন্তান জন্মদানের সক্ষমতা অর্জন করেছেন। ৪০ বছর বয়সেই তার ওই শ্যালিকার মেনোপোজের লক্ষণগুলো শুরু হয়ে গিয়েছিল।
এই একই গবেষক এর আগে প্রমাণ করেছিলেন যে, ভিটামিন বি থেকে তৈরি একধরণের খাবার খাইয়ে ইঁদুরের বয়স ১০% বাড়ানো সম্ভব। অধ্যাপক সিনক্লেয়ার বলেন, আগামী ৫ বছরের মধ্যেই হয়তো ওষুধটি বাজারে ছাড়া সম্ভব হবে। যার দাম হবে দিনে এক কাপ কফির দামের সমান।