November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

যদি না চান মিসক্যারেজ, অব্যশই মেনে চলুন ….

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস : 
ন্তান নিয়ে সবারই অনেক স্বপ্ন থাকে। তবে একটি মিসক্যারেজ নিমিষেই সেই স্বপ্নকে ভেঙে দিতে পারে। মিসক্যারেজ বা অকাল গর্ভপাত হল কোনো কারণে গর্ভে থাকা ভ্রুণের অকাল মৃত্যু। এটি নানা কারণে হতে পারে। অকাল গর্ভপাত ঠেকাবার মতো কার্যকরী ওষুধ এখনো আবিষ্কার হয়নি। তাই অকাল গর্ভপাত ঠেকাতে অবলম্বন করতে হবে কিছু সাবধানতা। আসুন জেনে নেওয়া যাক অকাল গর্ভপাত প্রতিরোধের উপায়গুলি যা গর্ভধারণের আগে ও পরে অবলম্বন করতে হবে।
র্ভধারণের আগে :

• স্বামী-স্ত্রী দুজনেই এসটিডি (Sexually Transmitted Diseases) টেস্ট করে নিন। এতে আপনাদের মধ্যে কেউ কোন যৌন রোগে আক্রান্ত কিনা তা জানা যাবে ও সে অনুসারে চিকিৎসা নেয়া যাবে। গর্ভপাত ঠেকাতে এটি জরুরী।

• আপনার ভ্যাক্সিনেশন বা টিকার ইতিহাস জেনে নিন আপনার মা বাবার কাছ থেকে জেনে নিন আপনাকে কোন কোন টিকা দেয়া হয়েছিল বা কোন টিকা দেওয়া হয়নি। তারপর চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে জেনে নিন কোন কোন টিকা নেয়া প্রয়োজন। সন্তান ধারনের আগেই টিকাগুলো নিয়ে ফেলুন।

• বিভিন্ন ধরনের ক্রনিক রোগ যেমন, থাইরয়েডের সমস্যা, থ্যালাসেমিয়া, মৃগীরোগ এগুলি নিয়ন্ত্রণে না থাকলে গর্ভপাতের ঝুঁকি অনেকটা বেড়ে যায়। তাই  চিকিৎসকের কাছে বংশগত কোনো রোগের কথা লুকোবেন না।

• গর্ভধারনের পরিকল্পনা করার ১-২ সপ্তাহ আগ থেকে  চিকিৎসকের  পরামর্শ নিয়ে প্রতিদিন মোটামুটি ৬০০ মিলিগ্রাম ফলিক এসিড গ্রহন করুন। এতে জন্মগত ত্রুটি নিয়ে সন্তানের জন্মের ঝুঁকি কমবে।

• চা-কফি দু কাপের বেশি নয়। চা কফিতে থাকা ক্যাফেইন অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে আপনার হরমোনের লেভেলকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। তাই গর্ভধারনের আগেই এই অভ্যাস নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি।

গর্ভধারণের পর যা করবেন :
• হালকা ব্যায়াম করুন প্রতিদিন। ভারী ব্যায়াম আপনার শরীরকে ক্লান্ত করবে আ ভ্রুনের দেহে রক্ত সঞ্চালনে বাধা দিতে পারে।

• ঘন ঘন এক্স রে বা আল্ট্রাসনোগ্রাম করা থেকে বিরত থাকুন। এর ক্ষতিকর রশ্মি ভ্রুনের অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দিতে পারে।

• আপনার দুশ্চিন্তার প্রভাব পড়ে আপনার গর্ভস্থ সন্তানের উপরেও। অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণেও হতে পারে গর্ভপাত। তাই মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে  চিকিৎসকের  পরামর্শ নিন।

বিশেষ ডায়েট অনুসরণ করুন :
• বেশি করে মাছ খান। মাছে থাকা ফলিক এসিড ভ্রুণের জন্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

• কমপক্ষে ৩ লিটার জল খান। ভ্রূণের স্বাস্থ্য রক্ষায় জলের বিকল্প নেই।

• আঁশযুক্ত (ফাইবার যুক্ত) খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। এগুলি আপনার হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে।

• কোল্ড ড্রিঙ্কস খাওয়ার অভ্যাস থেকে বিরত থাকুন।

• ধূমপায়ীদের কাছ থেকে দূরে থাকুন। পরোক্ষ ধূমপানও আপনার ভ্রূণেরঅকাল মৃত্যুর জন্যে দায়ী হতে পারে। এছাড়াও পেটের উপর চাপ পড়ে এমন কোনও কাজ করবেন না। পর্যাপ্ত ঘুমান। সুস্থ থাকুন।

Related Posts

Leave a Reply