স্কুল জীবনে এই কাজ সবাই করেছে, তাই বলে জেলে ?
কলকাতা টাইমস :
কপালটাই খারাপ এই সুন্দরীর। সেলিব্রিটি বলে কথা। তাই বলে এই হেনস্থা! এক্কেবারে সোজা জেলে পুরে দিল। না হয় একটু-আধটু ওই মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছিল সে। এর থেকে না হয় স্কুলের মাস্টারমশাই বেত পেটা করতেন! জেলে গেলেন ‘বিউটি কুইন’। নাম ম্যাডিসন কক্স। বয়স ১৭। ইতিমধ্যেই ‘মিস টিন সাউথ ক্যারোলিনা ইন্টারন্যাশনাল’ হয়ে সেলিব্রিটি বনে গিয়েছে এই কিশোরী। কিন্তু, এহেন ম্যাডিসনকে জেলে যেতে হল। কী এমন করেছিল ম্যাডিসন?
ম্যাডিসন একজন হাইস্কুলের ছাত্রী। অভিযোগ দিনের পর দিন চিকিৎসকের নকল প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে স্কুল যেত না সে। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু, চিকিৎসক ম্যাডিসন নামে তাঁর কোনও রোগী নেই বলে জানিয়েও দেন। এবং সেইসঙ্গে বলেন ম্যাডিসন নামে কাউকেই তিনি কোনও প্রেসক্রিপশন দেননি। এরপরই ম্যাডিসনকে শিক্ষা দিতে পুলিশে অভিযোগ করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্পার্টানবার্গ কান্ট্রি পুলিশ এর পরে গ্রেফতার করে ম্যাডিসনকে। তার বিরুদ্ধে চিকিৎসকের জাল নথি পেশ করার অভিযোগ এনে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এই গ্রেফতারির পর অবশ্য জামিন পেয়ে যান ম্যাডিসন কক্স। স্কুল কেটে পালানোর এমন ঘটনায় সাউথ ক্যারোলিনায় হইচই পড়ে গিয়েছে। জেল থেকে ফিরেই টুইট করেছিল ম্যাডিসন। আর তার পরেই তার টুইটার অ্যাকাউন্টে ঝড় বইছে তির্যক সব মন্তব্যের। এতে প্রবল ক্ষিপ্ত ম্যাডিসন। চিকিৎসকের জাল প্রেসক্রিপশন দেওয়ায় এভাবে তাকে গ্রেফতার করা যায় কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সে। ম্যাডিসনের টুইটকে ব্যাঙ্গ করে অনেকেই টুইট করেছেন। তাতে ম্যাডিসনের শেষ পর্যন্ত উক্তি ‘আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে লোকের এত উৎসাহ কেন?