শুনেছেন কখনো ,জামাইদের মাছের মেলা!

এই মেলাটি হয় বাংলাদেশের কালীগঞ্জ উপজেলার বিনিরাইল গ্রামে। মূলত এটা জামাই মেলা। এ দিন ঘিরে এখানে দিনব্যাপী চলে আনন্দ-উৎসব। দিনটির জন্য অপেক্ষায় থাকেন উপজেলাবাসী। মেলায় একসঙ্গে রথও দেখা হয়, কলাও বেচা হয়।
এটা জামাই মেলা হলেও এখানে বসে মাছের বিরাট মেলা। বিনিরাইল ও এর আশপাশে গ্রামে যারা বিয়ে করেছেন, সেসব জামাই এ মেলার মূল ক্রেতা। এ মেলাকে ঘিরে এলাকার জামাইদের মধ্যে চলে নীরব প্রতিযোগিতা। কোন জামাই সবচেয়ে বড় মাছ কিনে শ্বশুরবাড়ি নিয়ে যেতে পারেন তা দেখার অপেক্ষায় থাকে দর্শনার্থীরা।
অগ্রহায়ণের ধান কাটা শেষে পৌষ-সংক্রান্তি নবান্ন উৎসবে এ মেলার আয়োজন করা হতো। প্রায় ২৫০ বছর ধরে এ মেলার আয়োজন হয়ে আসছে।
গাজীপুর, টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, ভৈরব, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ থেকে অনেক মানুষ এ মেলা উপলক্ষেই কালীগঞ্জে আসেন। প্রতিবছর পৌষ-সংক্রান্তির সময় অনুষ্ঠিত হয় এ মেলা।
মেলায় প্রায় তিন শতাধিক মাছ ব্যবসায়ী বাহারি মাছের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। মেলায় মাছ ছাড়াও আসবাবপত্র, খেলনা, মিষ্টির পসরাও রয়েছে। মাছের মেলায় সামুদ্রিক চিতল, বাঘাড়, আইড়, বোয়াল, কাল বাউশ, পাবদা, গুলসা, গলদা চিংড়ি, বাইন, কাইকলা, রূপচাঁদার পাশাপাশি পাওয়া যায় নানা রকমের দেশীয় মাছ।
মাঘ মাসের দ্বিতীয়দিন শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার জামালপুর, বক্তারপুর ও জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের মধ্যে বিনিরাইল গ্রামে ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলায় লোকে লোকারণ্য।
অগ্রহায়ণের ধান কাটা শেষে পৌষ-সংক্রান্তি ও নবান্ন উৎসবে এ মেলার আয়োজন করা হতো।প্রায় ২৫০ বছর ধরে এ মেলার আয়োজন হয়ে আসছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সার্বজনীন উৎসবে রূপ নিয়েছে মেলাটি