জয়েন্টের ব্যথা বা রূপের ম্যাজিক, ডিমের খোসাতেই কেল্লাফতে
কলকাতা টাইমস :
ডিমের বিভিন্ন ফান্ডা তো আমাদের সবারই জানা। কিন্তু ডিমের খোসার ব্যবহার সম্পর্কে আমরা কতটা জানি? প্রায় সব সময়ই ডিমের খোসার স্থান হয় ডাস্টবিনে। কিন্তু এই ডিমের খোসাই অনেক কামাল দেখাতে পারে।
অবাক হচ্ছেন? অবাক হওয়ার কিছু নেই। জেনে নিন, ডিমের খোসার কয়েকটা চমৎকার ব্যবহার-
১. ডিমের খোসায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং মিনারেল রয়েছে, যা বাগানের উর্বরতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ডিমের খোসা গুঁড়ো করে বাগানের মাটির সঙ্গে মিশিয়ে নিন।
২. ডিশ ওয়াশের সঙ্গে ডিমের খোসা গুঁড়ো করে মিশিয়ে নিন। এবার বাসন পরিষ্কারের কাজে ব্যবহার করুন। খুব সহজে বাসনের পোড়া দাগ উঠে যাবে।
৩. জয়েন্টের ব্যথা উপশম করে ডিমের খোসা। একটি পাত্রে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার এবং একটি ডিমের খোসা গুঁড়ো করে নিন। এবার এটিকে রেখে দিন যতদিন পর্যন্ত না ডিমের খোসাগুলো মিশে না যায়। ব্যথা স্থানে মিশ্রণটি লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন।
৪. কফির তেতো স্বাদ দূর করতে কিছু পরিমাণ ডিমের খোসা গুঁড়ো করে কফির সঙ্গে মিশিয়ে নিন।
৫. বাগানের চারপাশে ডিমের খোসা গুঁড়ো করে ছড়িয়ে দিন। এতে আপনার বাগান পোকা-মাকড়ের হাত থেকে রক্ষা পাবে।
৬. অনেক সময় রান্নাঘরের সিঙ্কে ময়লা জমে বন্ধ হয়ে যায়। ডিমের খোসা মিহি করে গুঁড়ো করে ড্রেনের মধ্যে দিয়ে দিন। তারপর বেশি করে জল ঢেলে দিন। দেখবেন ড্রেন পরিষ্কার হয়ে গেছে।
৭. ১টি ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে দুটি ডিমের খোসা গুঁড়ো করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি ত্বকে মেখে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেললেই কেল্লাফতে।
৮. ডিমের খোসা টিকটিকি দূর করতেও সাহায্য করে। ঘরের এক কোণায় ডিমের খোসা ঝুলিয়ে রাখুন। টিকটিকি আর আসবে না।
৯. ডিমের খোসাটি ধুয়ে নিয়ে, তার মধ্যে মোম গলিয়ে সলতে ঢুকিয়ে নিন। ব্যাস, সুন্দর ইনোভেটিভ মোমবাতি তৈরি।
১০. ডিমের খোসার ওপর রঙ দিয়ে সুন্দর সুন্দর নকশা করে নিন। ঘর সাজানোর জন্য ডিমের খোসা দারুণ কাজে লাগবে।