কংগ্রেসের দোটানায় তোপ ববিতার, ‘ঔদ্ধত্য ছাড়ুন, আপনারা আর জাতীয় দল নন’
কলকাতা টাইমস :
দিল্লি মদ কাণ্ডে এখন ইডির র্যাডারে তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির নেত্রী তথা তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের মেয়ে কে কবিতা। ইতিমধ্যেই তাঁকে সমন পাঠিয়েছে ইডি। আগামী ১১ মার্চ তিনি ইডি দপ্তরে হাজিরা দেবেন। তাঁর আগে শুক্রবার দিল্লির যন্তরমন্তরে মহিলা সংরক্ষণ আইন কার্যকর করার দাবিতে প্রতীকী অনশন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। সেই অনশন কর্মসূচিতে মোট ১৮টি বিরোধী দল অংশ নেবে বলে দাবি কেসিআর কন্যার। কিন্তু তাতে কংগ্রেসের অংশগ্রহণ করা নিয়ে এখনও সন্দিহান বিআরএস নেত্রী । কংগ্রেসের দোটানা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন কবিতা। তিনি বললেন, ‘কংগ্রেস আর তথাকথিত জাতীয় দল নয়। ঔদ্ধত্য ভুলে ‘টিম প্লেয়ার’ হিসাবে কাজ করা উচিত রাহুল গান্ধিদের ।’
বিআরএস নেত্রীর সাফ বক্তব্য, কংগ্রেস এই প্রতীকী অনশনে যোগ দেবে কিনা সেটা তাঁদেরই জিজ্ঞাসা করতে হবে। তবে বাকি ১৮টি দল আসবে বলে আমরা আশাবাদী। হাত শিবিরকে তোপ দেগে তাঁর বক্তব্য, কংগ্রেসের উচিত ঔদ্ধত্য ভুলে টিম প্লেয়ার হিসাবে কাজ করা। নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করুক কংগ্রেস। যদিও এদিন সোনিয়া গান্ধীর প্রশংসা শোনা গিয়েছে কেসিআর কন্যার মুখে। কৌশলে বুঝিয়ে দিয়েছেন সোনিয়ার কংগ্রেসের সঙ্গে আজকের কংগ্রেসের বিস্তর ফারাক রয়েছে।
বস্তুত, কেসিআর কন্যার এই বিস্ফোরক তোপ জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসকে আরও কোণঠাসা করল। আসলে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ‘বাড়াবাড়ি’র প্রতিবাদ করে ৯টি দল ইতিমধ্যেই একসুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছে। তৃণমূল, আপ, এনসিপি, বিআরএস, আরজেডি, সমাজবাদী পার্টি, শিব সেনার উদ্ধব শিবির এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স একযোগে মোদিকে চিঠি লেখেন। পরে আলাদা করে এই ইস্যুতে মোদির দ্বারস্থ হন কংগ্রেসের জোটসঙ্গী তথা ডিএমকে নেতা স্ট্যালিনও। অথচ কংগ্রেস দুই চিঠির কোনওটিতেই সই করেনি। সুতরাং বলে দেওয়ায় যায়, যে জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসকে আলাদা রেখেই একটি আঞ্চলিক দলের জোট তৈরি হচ্ছে। আর যত দিন যাচ্ছে ততই একা হচ্ছে কংগ্রেস।