যেন কল্পনায় আঁকা ‘কল্পা’
কলকাতা টাইমস :
প্রকৃতি তার আপন খেয়ালে ছবি এঁকেছে কল্পার ক্যানভাসে। এ যেন হিমাচলের এক কল্পালোক। পবিত্র কিন্নর-কৈলাস পর্বতমালার ঘেরাটোপে অতীতের ‘চিনি’ বর্তমানের কল্পা।
শীতে প্রচণ্ড তুষারপাতে ঢেকে যায়। সূর্যদয় থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোদের কারণে দেখা যায়, কল্পার আলাদা আলাদ রূপ।
সাংলা থেকে করছাম হয়ে আসতে হয় কল্পায়। ঢুকতে দেখা মিলবে কিন্নর জেলার সদর শহর রেকংপিও। জমজমাট আর ভিড়ে ঠাসা। সদর শহর বলে কথা! ছোট্ট শহরের মাথার ওপর বরফমোড়া শৃঙ্গরাজদের ক্যানভাস। আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথের দু’পাশে পাইনের আতিশয্য। তারই ফাঁকে পবিত্র কৈলাশ শৃঙ্গের হাসিমাখা মুখ।
কল্পার বাজারের কাছেই সুন্দর গোম্ফা হু-বু-লাংকার দেখে নিন। কল্পার ঠিক নিচেই চিনি গ্রাম। কাঠ, পাথরের সুন্দর ঘরবাড়ি আর সামদুব চোলিং বৌদ্বগুম্ফা এবং নারায়ণ-নাগিন মন্দির।
এই গ্রামের আতিথেয়তা মুগ্ধ করবে আপনাকে। কল্পার গোল্ডেন আপেলের খ্যাতি জগৎজোড়া। তবে অনুমতি ছাড়া আপেল গাছে হাত দিলে জরিমানা করা হয়। শুধু কল্পায় নয়, এমন রীতি চালু আছে গোটা হিমাচলে।
কল্পাকে দেখতে হলে হাতে অন্তত দু’দিন সময় রাখা উচিত। এখান থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে পাঙ্গি ঘুরে আসতে পারেন। অপরূপ শোভায় ভরা পাঙ্গির প্রাকৃতিক দৃশ্য অনেক দিন মনের ফ্রেমে জমা থেকে যায়।
আবার এখান থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে ইকো পয়েন্ট আর সুইসাইড পয়েন্ট দেখে চলে আসুন অল্পচেনা রোখি গ্রামে। চারদিকের তুষারধবল শৃঙ্গঘেরা রোখির রূপ অসাধারণ।
এখানে বাজার করতে রেকংপিও-তে আসতে হয়। নানান রেস্তোরাঁ, জুতো, শীতের নানা সামগ্রী কেনাকাটা করতে পারেন।
যেভাবে যাবেন: সাংলা থেকে কল্পার দূরত্ব ৫২ কিলোমিটার। করছাম হয়ে আসতে হয়। রেকংপিও থেকে মাত্র ১১ কিলোমিটার। শিমলা থেকে দূরত্ব ২৫২ কিলোমিটার। সরাসরি বাসেও চলে আসতে পারেন। তবে গাড়ি করে আসাটা সবচেয়ে ভালো।