ফের আইসোলেশন বাধ্যমূলক, করোনার বাড়বাড়ন্তে এই রাজ্যের দাওয়াই
কলকাতা টাইমস :
দেশে আরো ৫২৯ জনের দেহে করোনা প্রকোপ। যার ফলে গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা গিয়ে পৌঁছেছে ৪,০৯৩-তে। নতুন করে ভয় ধরাতে শুরু করেছে করোনা । দেশে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে কোভিড আক্রান্তদের বাড়িতে ৭ দিনের আইসোলেশনে থাকা বাধ্যতামূলক করল কর্নাটক সরকার । মঙ্গলবারই এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
যদিও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক বুধবার যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে তাতে দেখা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। তাঁদের মধ্যে দু’জন কর্নাটক এবং এক জন গুজরাতের বাসিন্দা।
গুজরাত, কর্নাটক, কেরলের মতো রাজ্যগুলিতে করোনার নতুন উপরূপের সন্ধান মিলেছে। জেএন.১ আক্রান্ত ১০৯ জনের মধ্যে ৩৬ জন গুজরাত, ৩৪ জন কর্নাটক, ১৪ জন গোয়া, ন’জন মহারাষ্ট্র, ছ’জন কেরল, চার জন রাজস্থান, চার জন তামিলনাড়ু এবং দু’জন তেলঙ্গানার বাসিন্দা।
গতকাল, মঙ্গলবারই নতুন করে ৭৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন দক্ষিণী রাজ্যে। এর মধ্যে ৫৭ জনই বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। মৃত্যু হয়েছে দুজনের। এই পরিস্থিতিতে নড়েচড়ে বসেছে কর্ণাটক স্বাস্থ্য দপ্তর। সরকারি ও বেসরকারি কর্মীদের ক্ষেত্রে সংক্রমণ ধরা পড়লে ৭ দিন বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে। প্রতিদিন ৫ হাজার কোভিড পরীক্ষা করা হবে। তবে আপাতত নতুন বছরের উদযাপনে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। অন্য রাজ্যে যেতেও বাধা নেই। কিন্তু যাঁদের কোমর্বিটি রয়েছে তাঁদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। একই নিয়ম প্রযোজ্য বর্ষীয়ান নাগরিকদের জন্যও। কোনও শিশু জ্বর, সর্দিকাশিতে ভুগলে তাকে স্কুলে না পাঠানোর পরামর্শও দেওয়া হয়েছে অভিভাবকদের।
করোনার নয়া সাব-ভ্যারিয়েন্ট JN.1-এর রূপ নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ বাড়ছে মানুষের মধ্যে। রবিবার পর্যন্ত মেলা পরিসংখ্যানে এখনও পর্যন্ত দেশে ৬৩ জন এই সাব-ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ গোয়ায়। সেখানে ৩৪ জন JN.1 আক্রান্ত। একদিনেই ওই সংখ্যক মানুষ সেখানে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।