মোদী ‘চাক্ষুস’ করতে ৮১৫ কিমি পায়ে হেঁটেই কাশ্মীরি যুবক!
ইতিমধ্যেই তিনি হেঁটে ফেলেছেন ২০০ কিলোমিটার পথ। রবিবার তিনি পৌঁছেছেন উপধমপুরে। আপাতত দু’দিন সেখানেই বিশ্রামে থাকবেন তিনি। তারপর আবার রওনা হবেন দিল্লির উদ্দেশ্যে। গত আড়াই বছর ধরে একাধিকবার ফাহিম দেখা করার চেষ্টা করেছেন মোদির সঙ্গে। কিন্তু প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছে তার প্রচেষ্টা। মোদি যখন সফরের জন্য কাশ্মীর গিয়েছিলেন তখনও তার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেছিলেন ফাহিম। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীদের বাধায় সেবারেও বিফলে যায় তার সব চেষ্টা।
তবে এবারের সাক্ষাৎ নিয়ে আশাবাদী ফাহিম। “আমি প্রধানমন্ত্রী মোদির খুব বড় ফ্যান। তার সঙ্গে দেখা করতেই পায়ে হেঁটে আমি দিল্লি যাচ্ছি। আশা করছি আমার এই যাত্রা প্রধানমন্ত্রীর মনোযোগ আকর্ষণ করবে এবং উনি আমার সঙ্গে দেখা করতে রাজি হবেন। তার সঙ্গে দেখা করাই আমার একমাত্র স্বপ্ন,” জানিয়েছেন ফাহিম।ফাহিম আরও জানিয়েছেন, মোদির প্রত্যেকটি ভাষণ এবং পদক্ষেপই মন কেড়ে নিয়েছে তার। ফাহিম জানিয়েছেন, “একবার তিনি (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি) যখন ভাষণ দিচ্ছিলেন, আচমকাই তিনি আজান শুনে থেমে যান। সকলে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর এই ছোট ছোট কাজও আমার হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছে। তখন থেকেই আমি তার ফ্যান হয়ে গিয়েছি।”
শিক্ষিত বেকার যুবকদের সমস্যা নিয়ে মোদির সঙ্গে তিনি আলোচনা করতে চান বলে জানিয়েছেন ফাহিম। মোদির শাসনামলে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে ফাহিমের জবাব, “পরিবর্তন তো সকলেরই চোখের সামনে রয়েছে। নরেন্দ্র মোদি জম্মু-কাশ্মীরের দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার পরই নানা উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে উন্নয়নের পথে এগোচ্ছে উপত্যকা।”
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হলে কীভাবে জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য আরও উন্নয়নমূলক কর্মসূচি নেওয়া যায়, সে বিষয়ে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন ফাহিম।