‘চোরের’ থুরি ডনের ওপর বাটপারি!
কলকাতা টাইমস :
চোরের উপর বাটপারি-বাগধারাটি বহুল প্রচলিত। কিন্তু দাউদের ওপর বাটপাড়ি! বুকের পাটা আছে বলতে হবে! মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের কারবারের ৪০ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছে তারই সাগরেদ খালিক আহমেদ। গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, দিল্লির এক ব্যক্তির থেকে দাউদের নাম করে খালিক ৪৫ কোটি টাকা তোলে। হাওয়ালার মাধ্যমে ৪০ কোটি টাকা বিদেশে পাঠিয়ে দেয়।
দিল্লির ওই ব্যক্তির সাঙ্কেতিক নাম ‘সফেদপোশ’। বাকি ৫ কোটি টাকা ‘বিনিময় মূল্য’। কিন্তু ওই ৪০ কোটি টাকা এবং খালিকের কোনও খোঁজ মিলছে না। দাউদের আর এক সাগরেদ জাবির মোতি এবং খালিকের মধ্যে ফোনে কতাবার্তায় আড়ি পেতে এই টাকা আত্মসাতের কথা জানতে পেরেছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। ভারত এবং শারজায় যাতায়াত ছিল খালিকের। দু’জনের কথোপকথন অনুযায়ী, মোতি খালিককে জানায়, জনৈক রজ্জাক ভাই এই লেনদেনে গড়মিলের কথা ‘বড়ে হজরত’কে জানিয়েছে। ‘বড়ে হজরত’ মানে দাউদ।
যদিও তবে টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে খালিক। তার বক্তব্য, ৪০ কোটি টাকার অর্ধেক পানামা ব্যাঙ্কে রয়েছে। বাকি টাকা বিদেশে দাউদের ব্যবসায় খাটছে। তবে ভারত থেকে টাকা পাঠানোর সময় কিছু গোলমাল হয়ে থাকতে পারে। খালিক নাকি জানিয়েছে, পানামা ব্যাঙ্ক থেকে জমার রসিদ পেলেই সেই টাকা তোলা যাবে। রাজ্জাকও সেই টাকা তুলতে পারে। এই সাফাই বিশ্বাসযোগ্য না হওয়ায় জালিয়াতির তদন্ত করতে দাউদ তার গোয়েন্দা বাহিনীর দুই সদস্যকে দিল্লি থেকে কানাডা পাঠিয়েছিল।
খালিক এখন মণিপুরে কোথাও গা ঢাকা দিয়েছে। টেলি কথোপকথন থেকে পরিষ্কার যে অন্যান্য ব্যবসার সঙ্গে ভারতে কালোটাকা সাদা করার চক্রও চালাত দাউদ। অনেক বড় বড় মানুষের হয়েই এই কারবার চালিয়েছে দাউদচক্র। ভারত থেকে কালো টাকা তুলে ডি কোম্পানি পানামা, কানাডা, দুবাই বা পাকিস্তানে বিভিন্ন জায়গায় খাটাত। এরপর সেই টাকা সাদা করে বিনিয়োগকারীদের ফেরত দিত। তবে এরজন্য দাউদরা চড়া দাম হাঁকত। এই যেমন ৪০ কোটি টাকা বিনিয়োগের জন্য ৫ কোটি টাকা বিনিময় মূল্য ধার্য করা হয়েছিল।