স্বাস্থ্য কর্তার মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তার ৩ প্রজন্মের শাস্তি নিশ্চিত করলেন কিম জং উন !
কলকাতা টাইমসঃ
নিজের বোন দেবকী নন্দনের হাতে মৃত্যুর ভবিষ্যবাণী শুনেছিলেন কংস। যার ফল স্বরূপ জেল বন্দি করা হয় দেবকীকে। একে একে হত্যা করা হয় তার সন্তানদের। অমরত্বের লোভে স্বৈরাচারী হয়ে ওঠা কংসের পরিণতি সকলেরই জানা। বাস্তবে এমনই স্বৈরাচারী এক শাসক কিম জং উনের এক পদক্ষেপ মনে করিয়ে দিলো সেই ইতিহাসকে। যদিও এক্ষেত্রে তার মৃত্যুর আশংকা ছিলো না। কেবল মাত্র দ্রুত এবং সস্তায় চিকিৎসা সরঞ্জাম কিনে হাসপাতাল তৈরির চেষ্টা করায় কিমের বিরল শাস্তির মুখে পড়তে হলো সেদেশের এক স্বাস্থ্য কর্তাকে।
জানা যাচ্ছে, উত্তর কোরিয়ার ৫০ বছর বয়সী ওই স্বাস্থ্য কর্তার মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তার তিন প্রজন্মের জন্য স্বাস্থ্য নিশ্চিৎ করা হয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, অপরাধের বীজ নির্মূল করতেই এই ব্যবস্থা। সূত্রের খবর, নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রায় বাধ্য হয়েই চীন থেকে সস্তার চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনার জন্য উদ্যোগ নেন এই স্বাস্থ্য কর্তা।
বিষয়টি জানতে পেরেই এই বরাত বাতিল করে ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে দেশের সবচেয়ে কঠিন আইন প্রয়োগ করা হয়। দ্রুত তার মৃত্যুদণ্ডের ব্যবস্থা করেন কিম জং উন। জানা যাচ্ছে, ১৯৮০ সালে চালু করা উত্তর কোরিয়ার এই আইন এতটাই ভয়ংকর যে শুধু অপরাধীর নয় শাস্তি পাবে তার তিন প্রজন্ম।