বিষক্রিয়ার আঁতুর ঘর রান্নাঘরের তোয়ালে…
কলকাতা টাইমস :
আমাদের সবার রান্নাঘরে ব্যবহার হয় তোয়ালে। হাত পরিষ্কারের জন্য হোক বা বাসনকাসনের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে মাঝে মাঝেই নানা জায়গায় তোয়ালে বুলিয়ে নেওয়ার চল আছেই। কিন্তু, জানেন কি, এই তোয়ালে থেকেই ছড়াতে পারে খাদ্যে বিষক্রিয়া।
অপরিষ্কার তোয়ালে থেকে জন্ম নেওয়া প্যাথোজেন গ্যাস এ ক্ষেত্রে হয়ে উঠতে পারে মারাত্মক। বিশেষত কম বয়সী ও বয়োবৃদ্ধদের ওপর এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি। সম্প্রতি মরিশাস বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় উঠে এসেছে এমন তথ্য।
এতে বলা হয়েছে, একটি পরিবারের সদস্য সংখ্যা, তাদের স্বাদের রকমফের ও অন্য নানা কারণে উৎপত্তি হয় এই প্যাথোজেনের। এতে এক মাস ধরে ব্যবহার করা ১০০টি তোয়ালে ব্যবহার করা হয়েছিল। ফলস্বরূপ, প্রায় ৪৯ শতাংশ তোয়ালেতে জীবাণু মিলেছে। যে পরিবারে সদস্য সংখ্যা বেশি বা খুদে সদস্য বেশি রয়েছে সেই পরিবারের তোয়ালেতে জীবাণুরও আধিক্য মিলেছে। শিশুদের জন্য বাড়তি সতর্কতা নিয়ে বারবার পরিষ্কারের প্রবণতায় তোয়ালে ব্যবহার করার ফলেই এই অবস্থা।
এমনকি, জীবাণুর উপস্থিতি বেশি ছিল ভিজে তোয়ালেতে। শুকনো তেয়ালের তুলনায় ভিজে তোয়ালেতে জীবাণু ছড়িয়েছে প্রায় দেড় গুণ। তোয়ালের যা উপাদান, তা ভিজে থাকলে এমনিই বাজে গন্ধ ছড়ায় এবং ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়। সেখানেই প্যাথোজেন পেয়ে যায় তার বাড়তি প্রভাব।
গবেষণায় উল্লেখযোগ্যভাবে আমিষ রান্নার দিন রান্নাঘরে জীবাণুর মাত্রা বেশি মিলেছে। আমিষ রান্নায় ব্যবহৃত মশলার ব্যবহার বেশি হওয়ায় সেখানে প্যাথোজেনের প্রভাব বেশি বলে দাবি করেছেন গবেষকরা। তুলনায় নিরামিষ বা সেদ্ধ জাতীয় রান্নায় প্যাথোজেনের পরিমাণ কম। নিরামিষ রান্নার উপাদান কম বলে, ঘন ঘন তোয়ালের ব্যবহারও কম হয়।
গবেষকদের মতে, তোয়ালে ব্যবহার করুন। কিন্তু বুঝেশুনে। এক একটা কাজের জন্য আলাদা আলাদা তোয়ালে রাখুন। হাতের কাছে ছোট ছোট তোয়ালে রুমালও রাখতে পারেন কাজের সুবিধা ভেবে। আধুনিক ব্যবস্থায় অভ্যস্ত হতে ব্যবহার করতে পারেন পেপার-টাওয়েলও।
আর অবশ্যই হাত পরিষ্কার, বাসন পরিষ্কার সব কাজের জন্য আলাদা আলাদা তোয়ালে ব্যবহার করুন।