লেজার চিকিৎসা মানেই কিন্তু …
লেজার শব্দটি সুপরিচিত হলেও এর মাধ্যমে চিকিৎসা নেওয়ার বিষয়ে রয়েছে ব্যাপক ভুল বোঝাবুঝি। অনেকেই ভাবেন লেজার চিকিৎসা অত্যন্ত ভয়ংকর, এই চিকিৎসায় অনেক ঝুঁকিও, বিশেষ করে লেজার চিকিৎসায় ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে বলে অনেকেই বিশ্বাস করেন। আবার অনেকে সরাসরি জিজ্ঞাসাই করেন, লেজার চিকিৎসা করলে পরবর্তী সময়ে ক্যান্সার হতে পারে কি না। কেন যে ক্যান্সারের সঙ্গে লেজার চিকিৎসার সম্পর্ক আছে বলে তাঁরা ভাবেন, সেটার কারণ আজও অজানা।
লেজার চিকিৎসাই একমাত্র সমাধান
যেসব সমস্যার চিকিৎসা নেই বলে ভাবা হতো তা এখন অতি সহজেই লেজারের মাধ্যমে সমাধান করা যায়। এগুলোর মধ্যে আঁচিল জরুল, মুখের বা শরীরের যেকোনো স্থানের অবাঞ্ছিত লোম চিরস্থায়ীভাবে নির্মূল করা অন্যতম প্রধান। এ ছাড়াও লেজারের মাধ্যমে ত্বকে জন্মদাগ, কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত কালো দাগ, যেমন ট্যাটু করার পর সেটাকে নির্মূল করতে চাইলে সেটা অপসারণ, ত্বকের বার্ধক্যজনিত পরিবর্তন দূর করে তারুণ্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
সম্পূর্ণ নিরাপদ
লেজার চিকিৎসা এতটাই নিরাপদ যে সদ্যোজাত শিশুর ওপরও এটা প্রয়োগ করা সম্ভব। তবে লেজার চিকিৎসার বিপদ নিয়ে যেমন রয়েছে মানুষের ভুল ধারণা, তেমনি উল্টোভাবে লেজারের কার্যকারিতা নিয়েও জনগণের রয়েছে অতিরিক্ত উচ্চাশা, যা অনেক ক্ষেত্রেই বাস্তবসম্মত নয়। অনেকেই এ রকম আশা বা ধারণা পোষণ করেন যে লেজার চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্য দিয়ে গেলে তাঁরা অপরূপ রূপের অধিকারী হবেন।
এটা যে সম্পূর্ণ একটি ভুল ধারণা তা বলার অপেক্ষা রাখে না।