ক্যান্সার নিরাময়ে অব্যার্থ মুলো, জেনে নিন এর অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতা
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
শীতকালীন সবজির মধ্যে অন্যতম হল মুলো। অনেকেই এই সবজি খেতে পছন্দ করেন, আবার অনেকে এর নাম শুনলেই বিরক্ত হন। কিন্তু আপনি কি জানেন যে, মুলো আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারি একটি সবজি? এই সবজির কিন্তু বহু গুণ। বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সমাধানে এর জুড়ি মেলা ভার। মুলোতে বিভিন্ন ধরনের মিনারেসল পাওয়া যায়। এতে ফাইটোকেমিক্যালস পাওয়া যায় যা আমাদের অনেক রোগ থেকে দূরে রাখে। নিয়মিত মুলো খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। তাহলে জেনে নিন মুলোর উপকারিতা সম্পর্কে। ক্যান্সার মুলো ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই কমায়। এটি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার চিকিৎসায় অত্যন্ত কার্যকরী।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে মুলো খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। কারণ মুলোয় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। এছাড়াও, মুলোতে বিশেষ ধরনের অ্যান্টি-হাইপারটেনসিভ থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। জন্ডিস রোগীদের জন্য উপকারি জন্ডিস রোগীদের জন্য মুলো খুব উপকারি। যাদের জন্ডিস হয়েছে বা যারা ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন, তাদের অবশ্যই লবণের সাথে মুলো খাওয়া উচিত। কারণ মুলো রক্তে বিলিরুবিন নিয়ন্ত্রণ করে এবং দেহে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়ায়। এছাড়াও, এটি রক্ত পরিশোধন করে।
কিডনির জন্য উপকারি এই সবজি কিডনির স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও সাহায্য করে। কিডনির যেকোনও সমস্যা রোধ করে মুলো।
শীতকালে সবচেয়ে বেশি যে শারীরিক সমস্যা হয় তা হল – সর্দি, জ্বর। তাই যদি আপনি নিয়মিত মুলো খান তবে এইসব সমস্যা কম হবে। এছাড়া মুলো খাওয়ার আরও অনেক সুবিধা রয়েছে, কারণ এতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আমাদের অনেক রোগ থেকে দূরে রাখে। গ্যাসের সমস্যা দূরে রাখে অনেকেই পেটে গ্যাসের সমস্যায় ভোগেন। অনেকে মনে করেন যে, মুলো খেলে পেটের গ্যাস আরও বাড়ে। কিন্তু এমন কিছুই নয়, মুলো খেলে পেটের গ্যাস কম হয়। এছাড়াও, হজম প্রক্রিয়ার জন্যও এটি খুবই ভাল। এতে উচ্চ পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়। ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রেও উপকারি মুলো ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উপকারি। মুলোয় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। মুলো রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। তাই, ডায়াবেটিস রোগীরা এটি গ্রহণ করতে পারেন। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।