জেনে রাখুন ইতিহাসের সবচেয়ে নোংরা ও কুখ্যাত খুনির কথা
কলকাতা টাইমস :
বলা হয় মানুষ পারেনা এমন কোনো কাজ নেই। ক্ষেত্র বিশেষে এই কথাটা সত্য। যদি কথাটা সত্যিই না হয় তাহলে মানুষ কীভাবে মানুষকে হত্যা করে? শুধু কী হত্যা? ইতিহাসে আমরা অনেক খুনির বিস্তারিত পাই। কেউ খুন করেছে তিন শতাধিক, কেউ শতাধিক, কেউ এক ডজন বা তার কম।
১৯৭৬ সালের ১৩ জুলাই। ম্যারিওন কেটার নামের চার বছর বয়সী এক মেয়ে শিশুকে অপহরণ করে। তারপর খুন। এ দায়ে গ্রেপ্তার হয় ক্রল। পুলিশ বাড়ি বাড়ি ঘুরছিল মেয়েটির সন্ধানে। ক্রলের এপার্টমেন্টের এক প্রতিবেশী ক্রলকে যখন জানায় তার বাসার পয়ঃনিষ্কাশনের পাইপটি ময়লায় ব্লক হয়ে গেছে। তখন নাকি ক্রল খুব স্বাভাবিক ভঙ্গিতে উত্তর দিয়েছিল- নাড়িভুড়িতে এমনটা হয়েছে।
এমন উত্তর শুনে ভ্যাবাচেকা খেয়ে যান ক্রলের প্রতিবেশী। পরবর্তীতে ওই প্রতিবেশীর কথা শুনেই পুলিশ ক্রলকে সন্দেহ করে। পুলিশ ক্রলের এপার্টমেন্টে তল্লাশি চালায়। ম্যারিওনের ছিনভিন্ন শরীর তারা দেখতে পায়। শরীরের কিছু অংশ কেটে রাখা হয়েছে ফ্রিজে, কিছু অংশ মেজেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা, হাত কেটে রাখা হয়েছে গরম পানিতে – যা দিয়ে ক্রল রান্না করতে চেয়েছিল। আর নাড়িভুড়ি ফেলেছিল ময়লা নিষ্কাশনের পাইপে।
ক্রল তার জবানবন্দিতে জানিয়েছেন, গ্রোসারি শপের বিল বাঁচাতেই তার এই বিকৃত রুচির আবির্ভাব হয়। ছোট ছোট ছেলে মেয়েদেরকে ধরে নিয়ে খুন করে। শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ আলাদা করে টুকরো টুকরো করে রান্নার জন্য প্রস্তুত করে। বন শহরের কাছে এক জেলে ১৯৯১ সালে এই খুনি মারা যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে।