হৃদরোগে সরষের তেলের প্রভাব জানেন
কলকাতা টাইমস :
ত্বকের যত্নে এবং বিভিন্ন ভর্তায় সাধারণত সরষের তেল ব্যবহার করা হয়। অন্য অনেক তেলের চেয়ে এই তেলে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে। সরষের তেলে প্রচুর পরিমাণে মোনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই দরকারী। এটি হৃদরোগের জন্য উপকারী। এছাড়া এটি ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে, চুলের বৃদ্ধি ঘটে এবং অকাল চুল পাকা রোধ করে।
‘আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন’ থেকে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র থেকে জানা যায়, নিযমিত সরষের তেল খেলে হৃদরোগে সম্পর্কিত জটিলতা কমে। এটি শরীরে খারাপ কোলেষ্টেরলের মাত্রা কমায়, রক্ত সরবরাহ ঠিক রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে, সরিষার তেল সূর্যমুখীর তেলের চেয়েও উপকারী।
শীত কিংবা বর্ষাকালে অনেকসময় পা ফেটে যায়। মোমবাতি গলিয়ে যদি পরিমান মতো সরষের তেল মিশিয়ে তা আক্রান্তস্থলে ব্যবহার করা হয় তাহলে পা ফাটা অনেকটা্ই কমে যাবে। এছাড়া নখ উজ্জ্বল দেখাতেও সরষের তেলের জুড়ি নেই। এটি নারিকেল বা অন্য তেলের থেকেও উপকারী।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা অনুযায়ী, শরীর ম্যাসাজে সরিষার তেল ব্যবহার করলে রক্ত সরবরাহ ভাল হয়, মাংসপেশী শিথিল হয়। এটি ঘামগ্রন্থি সক্রিয় করে এবং শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়। এটা প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে।
সরিষার তেলে অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল গুণ রয়েছে। এটি শরীরের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। বিশেষ করে কোলন, হজম পদ্ধতি এবং ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন থেকে দূরে রাখে। এটি ঠান্ডা , কাশি সারাতেও বেশ কাজে লাগে। প্রাচীনকাল থেকেই সর্দি-কাশির চিকিৎসায় এটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
সরষের তেলে থাকা বিটা ক্যারোটিন চুলের বৃদ্ধি জন্য দারুন সহায়ক। চুলের গোড়ায় এই তেল ভালভাবে ম্যাসাজ করলে চুল দ্রুত বাড়ে। খাদ্যে অরুচি হলে নিয়মিত খেতে পারেন সরিষার তেলে রান্না করা খাবার। এটি রুচি বাড়বে।