ফলের গায়ের স্টিকারের রহস্য কি জানেন
যদি আপেলের গায়ে বিভিন্ন কোড লেখা থাকে, যেমন ৪১৩১, ৪১৩৩, ৪০১৭ ইত্যাদি। প্রত্যেকটা সংখ্যার মানে কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন। এখানে ফুজি আপেল হলে ৪১৩১, গালা আপেল হলে ৪১৩৩, সবুজ রঙের আপেল হলে ৪০১৭ স্টিকার লাগানো হয়। চার সংখ্যার কোড মানে প্রচলিত পদ্ধতিতে আপেল চাষ হয়েছে। প্রথম সংখ্যাটি ৪ এর আগে যদি আরো একটি সংখ্যা ৮ থাকে তবে ভিন্ন পদ্ধতি বোঝায়। ৪১৩১ মানে ফুজি আপেল ঠিকই কিন্তু ৮৪১৩১ মানে প্রচলিত পদ্ধতিতে নয়, জিনগত পরিবর্তন ঘটিয়ে এটি উৎপাদন করা হয়েছে। ৮ না হয়ে যদি ৯ লেখা হতো তবে সেটিও ফুজি আপেল। কিন্তু কোনো কিটনাশক ব্যবহার ছাড়াই উৎপাদিত।
ক্রেতারা যাতে সহজেই বুঝতে পারেন, এজন্য এমন কোড লেখা হয়ে থাকে। এটাই আন্তর্জাতিক নিয়ম। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার প্রাইস লুক কোড সম্পর্কে শিক্ষিত ক্রেতারাও জানেন না। দেশে উৎপাদিত পণ্যের ক্ষেত্রে সাধারণত এমন কোড লেখা থাকে না। দেশে ক্রেতাদের বোঝার স্বার্থে গুড, ওকে এ জাতীয় কথা লেখা থাকে। কোনো কোনো স্টিকারে অর্গানিক, জেনেটিক্যালি মোডিফায়েড(জিএম), ন্যাচারাল ইত্যাদিও লেখা থাকে।
আরেকটু সহজ করে যদি বলি তাহলে হচ্ছে, স্টিকারে যদি দেখেন ৪ সংখ্যার কোড নম্বর রয়েছে এবং সেটা শুরু হচ্ছে ৩ বা ৪ দিয়ে, এর মানে হল, কোনো ফার্মে ওই প্রোডাক্টির চাষ হচ্ছে বিশ শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে। যার অর্থ, কৃত্রিম সারেই চাষ হয়েছে।
যদি কোনো ফলের গায়ে ৫ সংখ্যার কোড দেয়া স্টিকার দেখেন, যার শুরুটা ৯ দিয়ে, অর্থ, চিরাচরিত প্রথাতেই চাষ হচ্ছে। হাজার হাজার বছর আগেও যে ভাবে চাষ হতো, সে ভাবেই। মানে, কোনোরকম রাসায়নিক সার বা কীটনাশক দেয়া হয় না। জৈবপদ্ধতিতে চাষ হয়।
স্টিকারে যদি ৫ ডিজিট কোড থাকে এবং শুরুটা ৮ সংখ্যা দিয়ে হয়, তার মানে ওই ফলটি GMO বা জেনেটিক্যালি মডিফায়েড। এটা পড়ে নিশ্চিত স্টিকার ভালো করে না-দেখে আর ফল কিনবেন না।