স্রেফ কয়েকটা ওঠ-বস আর জেনে নিন আপনার আয়ু!
কলকাতা টাইমস :
জানতে চান আর কতদিন আপনার আয়ু? কোনও জ্যোতিষির চেম্বারে লাইন দিয়ে নয়, কোনও যাযাবরের তাঁবুতে স্ফটিক গোলকের সামনে হত্যে দিতেও হবে না, সেই হিসেব পেতে পারেন নিজের বাড়িতে, এবং তা-ও স্রেফ কয়েকটা ‘ওঠ-বোস’ করেই।
সম্প্রতি মানুষের আয়ু নির্ধারণ করার জন্য চিকিত্সকরা এক সহজ পরীক্ষার ব্যবস্থা করেন। পরীক্ষার নাম ‘সিটিং-রাইজিং টেস্ট’, সংক্ষেপে সিআরটি। চিকিত্সকদের দাবি, এই পরীক্ষার ফলে জানা যাবে একজন মানুষ কতদিন বাঁচবেন।
কী করতে হবে?
প্রথমে হাঁটু ভাঁজ করে ‘বাবু’ হয়ে মাটির উপর বসতে হবে। এরপর এই অবস্থা থেকে পরীক্ষার্থীকে সটান দাঁড়িয়ে উঠতে হবে। তবে এই কাজে ভারসাম্য রক্ষার জন্য কোনও অবলম্বন ব্যবহার করা চলবে না। এতেই বোঝা যাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির শারীরীক নমনীয়তা ও শক্তির সঠিক পরিমাণ।
এভাবে অন্তত ১০ বার একেক জন পরীক্ষার্থীকে বসতে এবং তারপর উঠে দাঁড়াতে হবে। প্রতিবার ভারসাম্য হারালে খোয়া যাবে এক পয়েন্ট। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যে সমস্ত মানুষ ১০-এর মধ্যে ৩ বা তার চেয়ে কম পয়েন্ট সংগ্রহ করছেন, আগামী ৬ বছরে তাঁদের মৃত্যুর সম্ভাবনা বেশি। পাশাপাশি, ৮ বা তার চেয়ে বেশি পয়েন্ট পাওয়া মানুষদের এই ছয় বছরে কোনও মারাত্মক অসুখের সম্ভাবনাও নেই।
আসলে এই পরীক্ষা সাধারণত ক্রীড়াবিদদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হত। ব্রাজিলের রাজধানী রিও ডি জেনেইরোর গামা ফিলহো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ক্লদিও গিল আরাউখো-সহ একদল গবেষক আপাতত এই পরীক্ষায় মাধ্যমে রোগীর শরীরের পেশি শক্তি বৃদ্ধি এবং শারীরীক ভারসাম্য বজায় রাখার উপর গুরুত্ব দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। তাদের মতে, শারীরীক শক্তি ও ভারসাম্য বজায় রাখতে পারলে স্বাভাবিক ভাবেই আয়ু বৃদ্ধি হবে। এক কথায় এসআরটি-র মাধ্যমে রোগীর শারীরীক দুর্বলতা পরিস্ফূট হবে।
২০০২ সালে ৫১ থেকে ৮০ বছর বয়সী পুরুষ ও মহিলা হৃদরোগীদের উপর এই পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। পরীক্ষায় যারা ১০-এর মধ্যে ৮-এর নীচে নম্বর পান, পরবর্তী ৬ বছরে তাদের মৃত্যুর সম্ভাবনা প্রবল থাকে। জানা গিয়েছে, পরীক্ষায় যাঁরা দেহের ভারসাম্য হারান, তাদের প্রতিবার আধ নম্বর কাটা গিয়েছে। আবার যারা কোনও কিছুর সাহায্য নিয়ে দৈহিক ভারসাম্য বজায় রেখেছেন, তাদের প্রতিবার কাটা গিয়েছে এক নম্বর।