ক্রো ক্রো নয়, কাক কেয়া কেয়া ডাকলেই আপনার অমঙ্গল আসন্ন, শিখতে চান এই ভাষা
কলকাতা টাইমস :
প্রাচীন ভারতে পশুপাখির ভাষা রপ্ত করে ভবিষ্যৎ জানার একটা গুপ্তবিদ্যা যে ছিল, তার প্রমাণ রয়েছে বেতাল পঞ্চবিংশতি বা বত্রিশ পুত্তলিকা-গোছের সাহিত্যে। কাক চরিত্র কি সেই লুপ্তবিদ্যার হদিস দেয় আজকের যুগেও? সন্দেহ হয়। ভারি সন্দেহ হয়।
মনে রাখতে হবে, কাক এমনই এক প্রাণী, যাকে এড়িয়ে জীবনযাপনই সম্ভব নয়। সূর্যোদয়ের আগে থেকেই তার ডাক আরম্ভ হয়। সূর্যাস্তের পরও তার কলরব জেগে থাকে বেশ কিছুক্ষণ। কেবল তা-ই নয়, তেমন জ্যোৎস্না উঠলেও কাক ডাকে। ‘কাক চরিত্র’ একটিকে যেমন সময় অনুযায়ী কাকের ডাকের মানে বোঝার চেষ্টা করেছে। তেমনই কাকের ভাষাকে বিশ্লেষণ করে তার মহিমা নির্ণয়ের গুরুদায়িত্বও পালন করেছে।
জেনে নিন কাক চরিত্র অনুযায়ী কাকের ভাষার সংকেত।
কাক যদি ক্রো ক্রো করে ডাকে, তা হলে জানবেন আপনার শুভলাভ আসন্ন।
কাকের ডাক যদি কেয়া কেয়া হয়, তা হলে তা দেশের পক্ষে অমঙ্গলজনক। কোনও বিশিষ্ঠ দেসনেতার প্রাণনাশের সূচক এই ডাক।
কাক যদি কল কল করে ডাকে, তাবে তাকে দেশের পক্ষে মঙ্গলজনক বলে ধরতে হবে। এতে জিনিসপত্রের দাম কমে।
কাকের ডাক যদি কুঁই কুঁই শেনায়, তা হলে ধননাশ অনিবার্য।
কাকের কিঁ কিঁ ডাক খুবই অশুভ। যা খুশি অঘটন ঘটতে পারে।
কাকের ডাক কোঁ কোঁ শোনালে তা পরিবারের পক্ষ অমঙ্গলজনক ধরতে হবে। পরিবারের কারও মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
কাক যদি থেমে থেমে ক্রোড়ন বলে শব্দ করে, তবে দেশে গৃহযুদ্ধ বাধার আশঙ্কা রয়েছে।
কাকের ডাক যদি ক্রেন ক্রেন শোনায়, তা হলে জানবেন কোনও সুন্দরী নারীর সঙ্গে আপনার সম্পর্ক ঘটবেই।
কাকের ক্লীন ক্লীন ডাক অশুভ। কোনও আত্মীয়ের বিপদ বা মৃত্যুর সূচক এই ডাক।
সাবধানে কাকের ডাক শুনুন। বেশ কিছুদিন শুনে শুনে অভ্যস্ত হলেই বুঝতে পারবেন, কাকের ডাকে অনন্ত বৈচিত্র বিদ্যমান। অবহেলা করবেন না। কাকভূশণ্ডী কিন্তু নজর রাখছেন মরপৃথিবীর উপরে।