এই ৩০ টি টিপস জানলে রান্না সারতে লাগবে ব্যাস কয়েক মিনিট
কলকাতা টাইমস :
অনেকেই রান্না করাটাকে অনেক ভয় পান। কারণ শুধু রান্নার জন্য অনেকটা সময় নষ্ট হয়ে যায়। বিশেষ করে কর্মব্যস্ত জীবনে সবসময় সাজিয়ে-গুছিয়ে সময় নিয়ে রান্না করা সম্ভব হয়না। ঝটপট রান্নার কাজটা সেরে যেতে হয় অন্য কাজে। তাই বলে ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই। চলুন তাড়াতাড়ি রান্না করার জেনে নিই ৩০টি টিপস, যা হয়তো আপনার অনেক কাজে লাগবে।
টিপস:
১. যথা সম্ভব ঢাকানা দিয়ে রান্না করুন, এতে খাবারের পুষ্টিমান ঠিক থাকে।
২. মাংস রান্নার শুরুতেই নুন না দিয়ে রান্নার মাঝামাঝি সময়ে লবণ দিয়ে ভালোভাবে নাড়ুন। এরপর দেখে নিন পরিমান ঠিক হল কিনা।
৩. তরকারির ঝোল ঘন করতে চাইলে কিছু কর্ণ ফ্লাওয়ার জলে গুলে ঢেলে দিন। লক্ষ্য রাখুন যেন কর্ণ ফ্লাওয়ারের মিশ্রণটি ভালো মতো তরকারির সাথে মিশে যায়।
৪. চাল ধোয়ার পর ১০ মিনিট রেখে দিয়ে তারপর রান্না করুন অথবা রান্নার সময় ১ চা চামচ রান্নার তেল দিয়ে দিন। দেখবেন ভাত সুন্দর ঝরঝরে হয়েছে।
৫. সবুজ সবজি রান্নার সময় সবুজ রং ঠিক রাখতে চাইলে এক চিমটি চিনি দিন।
৬. রান্না করার জন্য একদিন আগেই মাংস সেদ্ধ এবং ঠাণ্ডা করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন।
৭. রান্নার সময় গরম জল ব্যবহার করুন।
৮. মাংস তাড়াতাড়ি সেদ্ধ করতে চাইলে খোসাসহ এক টুকরো কাঁচা পেঁপে তরকারীতে দিন।
৯. মাছ, মাংস বা ডিমের ঝোলে লবণ বেশি হয়ে গেলে তরকারিতে কয়েকটি সিদ্ধ আলু ভেঙে দিন। স্বাদ ঠিক হয়ে যাবে।
১০. মুরগির মাংস রান্নায় ১ টেবিল চামচ সিরকা দিন। এতে মাংসের গন্ধ থাকবে না আবার তাড়াতাড়ি সিদ্ধও হবে।
১১. মাছ ভাজার সময় তেল ছিটে রোধ করতে একটু লবণ ছড়িয়ে দিন।
১২. বেরেস্তা করার সময় পেঁয়াজ ভেজে নামানোর আগে সামান্য জল ছিটিয়ে দিন এতে পেঁয়াজ তাড়াতাড়ি লালচে হবে।
১৩. কাঁচা মাছ বা মাংস ছুরি-চপিং বোর্ডে কাটতে চাইলে বেশ কিছুক্ষণ আগে থেকেই জলে ভিজিয়ে নরমাল করে নিন।
১৪. আলু ও ডিম একসঙ্গে সিদ্ধ করুন, আলাদা কাজে ব্যবহার করলেও তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হবে।
১৫. স্যুপ রান্নার সময় পাতলা হয়ে গেলে দুটি সিদ্ধ আলু ম্যাশ করে স্যুপে মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন।
১৬. ডাল তাড়াতাড়ি রান্না করতে আগের রাতেই ভিজিয়ে রাখুন।
১৭. সহজে মসলাপাতি খুঁজে পেতে কৌটার গায়ে নাম লিখে রাখুন।
১৮. আগামী দিন কী রান্না করবেন তার প্রস্তুতি রাতেই নিনতাহলে সময় বেঁচে যাবে।
১৯. রান্না করার সময় অবশ্যই মাছ ও সবজির কম্বিনেশনের ব্যাপারে নজর রাখবেন ।
২০. মাছ রান্না করে কাঁচা ধোনে পাতা থাকলে তা কুচি করে কেটে বিছিয়ে দিন, স্বাদ অনেকগুণ গুন বেড়ে যাবে।
২১. ডালে বাগার দিতে রসুন কুচি তেলে ভেজে ডালে দিয়ে দিন।
২২. মাংস জাতীয় রান্না করে শেষে বেরেস্তা (পেঁয়াজ কুচি ভাজি) ছড়িয়ে দিন এতে স্বাদ বেড়ে যাবে।
২৩. ডিম সিদ্ব করতে জলে সামান্য লবণ দিয়ে নিন এতে ডিম খেতে সুস্বাদু হবে। আর ঠাণ্ডা করে ডিম ছিলুন তাহলে খোসায় লেগে ডিম নষ্ট হবে না।
২৪. মাছ ভাঁজতে কড়াই হতে নিদিষ্ট দূরে থাকুন। মাছে জলে থাকলে কিংবা ফুটে আপনার গায়ে বা চোখে তেল পড়তে পারে।
২৫ এলাচ সম্পুর্ণ গুড়ো করে ব্যবহার করা ভালো এতে এলাচ কামড়ে পড়ে খাওয়ার মজা নষ্ট হবে না। আবার রান্নাতেও সুগন্ধ হবে।
২৬. সবজীর রং ঠিক রাখতে পাতিল ঢেকে রান্না না করাই ভালো। আর কিছু সবজিকে সামান্য সিদ্ধ করে ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেললে কিংবা বরফ কুঁচিতে রাখলে রান্নার পরও রং ঠিক থাকে।
২৭। কিছু ভাজিতে কড়াইতে তেল গরম হলে যা দেবেন তার সাথে সামান্য লবণ দিয়ে দিন, তেলের ছিটকা উঠবে না।
২৮. ডালের মজা বৃদ্ধির জন্য বেশি সময় ধরে রান্না করুন, স্বাদ বেড়ে যাবে ।
২৯. তেলাপিয়া মাছের গন্ধ দূর করতে তেলাপিয়া মাছ হলুদ ও ভিনিগার/লেবুর রস মাখিয়ে মিনিট ১৫ রেখে রান্না করুন।
৩০. ডিম রান্না করতে চাইলে ফ্রিজ থেকে তিন ঘণ্টা আগে বেড় করে রাখুন। তাহলে পুষ্টিগুণ ঠিক থাকবে।