বিয়ে নিয়ে এই মারাত্মক ভয়ের গবেষণা জানলে বুক কেঁপে উঠবে
কথায় আছে, ‘দিল্লি কা লাড্ডু জো খায়া, ওয়ো ভি পছতায়া, জো নেহি খায়া ওয়ো ভি পছতায়া’। বাস্তবে, প্রেমের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এমনটাই ঘটে থাকে।
সম্পর্কে না থাকলে দিনের শেষে এসে একাকিত্ব অনুভব করা আর সম্পর্কে থাকলে মতের অমিল আর তার পরে মনোমালিন্য। এই সবের কথা মাথায় রেখেই সম্পর্কে থাকার থেকে একা থাকাই বেশি পছন্দ করছে আজকের প্রজন্ম।
ইংল্যান্ডে একটি সমীক্ষার মাধ্যমে উঠে এসেছে, ২০১১ সালে ৫১ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ সিঙ্গল ছিলেন। সমীক্ষা থেকে আরও জানা গিয়েছে ২০০১ সালে এর থেকে ৪৮ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক সিঙ্গল ছিলেন। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে, ক্রমাগত সিঙ্গলদের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, যাঁরা কোনও সম্পর্কে নেই, অর্থাৎ সিঙ্গল, তাঁরা বেশিদিন সুস্থভাবে বাঁচেন।
শুধু তাই নয়, সিঙ্গল থাকেলে আরও কী কী উপকার হয়, সেই ব্যাপারগুলিও উঠে এসেছে বিভিন্ন সমীক্ষায়।
• আমেরিকান ব্যুরো অফ লেবর স্ট্যাটিসটিকস-এর একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, সিঙ্গলরা সামাজিক সম্পর্ক বজায় রাখতে বেশি দক্ষ হয়। এঁদের সঙ্গে বন্ধুদের সম্পর্কও ভাল থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বন্ধুদের সম্পর্ক বজায় রাখার ফলে এদের মানসিক অবস্থাও ভাল থাকে। ফলে স্ট্রেস থেকে এঁরা মুক্ত থাকেন।
• সিঙ্গলদের শারীরিক ওজন কম থাকে। ‘জার্নাল অফ ফ্যামিলি ইস্যু’-র একটি সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, যাঁদের সঙ্গী আছেন তাঁদের শরীরে তাড়াতাড়ি মেদ জমে। ওয়েস্টার্ন ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির আর একটি সমীক্ষার অবশ্য দাবি, সম্পর্ক বিচ্ছেদের পরে অনেকটা ওজন কমে যায় এবং চেহারা খারাপ হয়ে যায়।
• সমীক্ষা থেকে দেখা যাচ্ছে যাঁদের কোনও সঙ্গী নেই, তাঁদের ঘুম ভাল হয়। আর ঘুম যাঁদের ভাল হয়, তাঁদের স্বাস্থ্যও ভাল থাকে।
• কোনও সম্পর্কে না থাকলে, নিজের সঙ্গে সময় কাটানোরও সুযোগ বেশি থাকে। সম্পর্কের ঝুট ঝামেলা থেকে দূরে রেখে নিজেকে উন্নততর করে তোলা যায় বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে।
• সম্পর্কে থাকা মানে নিজের সঙ্গে সঙ্গীরও দায়িত্ব নেওয়া। আর দায়িত্ব যত বাড়ে, তত বেড়ে যায় মানসিক চাপ।