কোহলির বিরাট হয়ে ওঠার পেছনে বাবার মৃত্যু !
কলকাতা টাইমসঃ
বিরাট কোহলি। ভারত তো বটেই গোটা বিশ্বের নাম্বার ওয়ান ব্যাটসম্যান তিনি। ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকে অপ্রতিরোধ্য একজন ব্যাটসম্যান কোহলি। ক্যারিয়ারে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে প্রায় ১৮ হাজার রানের মালিক ভারতীয় অধিনায়ক। কিন্তু কোহলির মনে এখনো বাবার মৃত্যুর স্মৃতি অমলীন। রঞ্জি ট্রফি খেলার সময় বিরাট কোহলির বাবা প্রেম কোহলি মারা যান। ২০০৬ সালে প্রথম অংশ নেন রঞ্জি ট্রফিতে। কর্নাটকের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচের প্রথম দিনে ৪০ রান করে অপরাজিত ছিলেন কোহলি।
সেই দিন খেলা শেষে বাড়িতে ফেরার পর ভোররাতে মারা যান প্রেম কোহলি। বাবাকে হারানোর পর শোকের মধ্যেই পরের দিন সকালে ফের ব্যাট করতে গিয়েছিলেন কোহলি এবং চাপে থাকা দলকে ৯০ রানের ইনিংস খেলে উদ্ধারও করেন। সম্প্রতি ন্যাশনাল জিওগ্রাফিতে এক সাক্ষাৎকারে ভারত অধিনায়ক বলেছেন, আমার হাতের ওপরেই মারা যান বাবা। রাত তখন তিনটে। বাবাকে কোনো চিকিৎসা দিতে পারিনি। প্রতিবেশীদের থেকে সাহায্য পাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। যাদের ডাক্তার বলে চিনতাম, তাদের ফোন করেছিলাম। কিন্তু এত রাত হয়ে গিয়েছিল যে, কেউই সাড়া দেননি। যখন অ্যাম্বুলেন্স ও অন্যান্য ব্যবস্থা করা হয়, ততক্ষণে সব শেষ।
বিরাট কোহলির বাবার ইচ্ছে ছিল, তার সন্তান যেন দেশের নামকরা ক্রিকেটার হন। বাবার আগ্রহে থেকেই ক্রিকেটকে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নেন বিরাট। অথচ ছেলের তারকা হয়ে ওঠার অনেক আগেই না ফেরার দেশে চলে যান প্রেম কোহলি। সাক্ষাৎকারে কোহলি বলেন, বাবার মৃত্যুর ঘটনা আমার ফোকাস বাড়িয়ে দিয়েছিল। অন্য আর সব কিছুতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলাম। বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে সব এনার্জি এক জায়গায় এনে ফেলেছিলাম। তখন আমার একটাই স্বপ্ন ছিল।
বাবার সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে নিজের সমস্তটা দিয়ে ক্রিকেট খেলে যাওয়া কোহলি এখন বিশ্বের নাম্বার ওয়ান ক্রিকেটার। বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার তিনি। ক্রিকেটের তিন ফর্মেটে ইতিমধ্যে ৫৮টি সেঞ্চুরি করেছেন ভারতীয় এই অধিনায়ক। তার সম্পর্কে ক্রিকেট বিশ্লেষকরা বলে থাকেন, ১০০টি সেঞ্চুরি করা কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীনকেও ছাড়িয়ে যাবেন কোহলি।