কৃষ্ণ – অর্জুন – গীতা ।। রজত পাল ।।
।। যথেচ্ছসি তথা কুরু ।।
অর্থাৎ যথা + ইচ্ছসি তথা + কুরু
কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের শুরুতে 18 অধ্যায়ের নানা বেদ -উপনিষদের জ্ঞানের কথা অর্জুনকে শুনিয়ে একদম শেষ অধ্যায়ে এসে কৃষ্ণ বললেন, যেমন তোমার ইচ্ছা তেমনটাই কর ।
আসলে কৃষ্ণ জানতেন, মানুষ তার চরিত্র এবং নিজস্ব মনোভাব নিয়েই চলেন। যার ভেতর যেমন গুণ সেই অনুযায়ী সত্ত্ব, তমঃ এবং রজোগুণ অনুযায়ী আচরণ করেন ।
তাহলে কৃষ্ণ এতো পরিশ্রম করলেন কেন ?
কারণ তিনি এটাও জানেন যে জ্ঞানের তিনি আধার, তা জানানোটাও তার কর্তব্য কর্ম । নিষ্ক্রিয় থাকা তার কাজ নয় ।
তাই 63 নং শ্লোকে বললেন, গুহ্যাতিগুহ্য জ্ঞান তোমাকে দিলাম । তুমি বিচার পূর্বক যা ইচ্ছা তাই কর ।
এই ‘বিচার পূর্বক’ কথাটি important.
বিচার করার জন্য নানা শাস্ত্র ঘেঁটে সার কথা অর্জুনকে জানিয়েছেন । এবার অর্জুন হয় তার জ্ঞানী বন্ধুর শরণাগত হয়ে কাজ করবেন অথবা নিজের বুদ্ধিতে বিচার পূর্বক ।
পন্ডিত ও জ্ঞানীর তফাত আমাদের বুঝতে হবে । যিনি পন্ডিত তিনি শুধু তত্ত্ব টা জানেন, প্রয়োগ করেন না । যিনি জ্ঞানী তিনি জ্ঞানকে জীবনে প্রয়োগ করেন । কৃষ্ণ তার সমস্ত জ্ঞান সারা জীবন সর্বত্র প্রয়োগ করেছেন ।
জ্ঞানী ব্যক্তি দুর্লভ ।
কিন্তু যদি পাওয়া যায়, তিনিই গুরুস্থানীয়।
অর্জুন ভাগ্যবান, এমন জ্ঞানী তার বন্ধু । তবে প্রকৃতি নানাভাবে তার রহস্য আমাদের কাছে তুলে ধরেন ।
অর্জুনের মতোন কি পছন্দ করব –
সেই পছন্দের option আমাদের কাছে open …..
সিদ্ধান্ত আমাদের …