সুনীতা দাস :
সম্প্রতি প্রাক্তন ছাত্রদের উৎসাহ ও প্রচেষ্টায় কোতরং ভূপেন্দ্র স্মৃতি বিদ্যালয়ের পুনর্মিলন উৎসব ২০১৮ সম্পন্ন হলো । প্রায় ৩০০ জন প্রাক্তন ছাত্রের মহা উৎসাহে দিনটি বেশ জমজমাট আড্ডার রূপ নেয়। ২৮ জানুয়ারির এই দিনটিতে গণ্যমান্য অতিথিদের সাথেই উপস্থিত ছিলেন খ্যাতনামা শিল্পী স্বপন বসু। এই লেখাটির শুরুটি পড়ে মনে হতে পারে, একটি স্কুলের পুনর্মিলন সে আর এমন কি বিশেষ কথা। একদম ঠিক ভাবছেন। পুনর্মিলন আসলে উপলক্ষ্য, লেখার আসল বিষয় বিদ্যালয়ের ইতিহাস।
১৯৪৮ সালে এই বিদ্যালয়টি কামিনী কুমার মিত্রের বাড়িতে শ্রী বৈদ্যনাথ নাগ ও শ্রী প্রাণবল্লভ কুন্ডুর প্রচেষ্টায় শুরু হয়। অল্পকাল পরে শ্রী ভূপেন্দ্র লাল পাল চৌধুরীর অর্থানুকূল্যে স্থানান্তরিত হয় বর্তমান বিদ্যালয়ের জায়গায়। যদিও সেই সময় এটি শুরু হয় একটি টিনের চালাঘরে। বিদ্যালয়টির নাম হয় ভূপেন্দ্র স্মৃতি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এরপর ১৯৫১ সালে এটি রাধাগোবিন্দ নগরের অধিবাসীদের স্বেচ্ছা প্রদত্ত আর্থিক সহায়তায় ও ভূপেন্দ্রবাবুর অর্থানুকূল্যেই ১৯৫১ সালে ভূপেন্দ্র স্মৃতি বিদ্যালয় নামে জুনিয়র হাই স্কুল রূপে আত্মপ্রকাশ করে। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত নানা কৃতি-মেধাবী ছাত্রেরা স্কুলটিকে উজ্জ্বল করেছে তাদের সফলতায়।
এই বিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণ বহু ছাত্র আজ জীবনে সু প্রতিষ্ঠিত। এই বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৭ সালে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের স্কুল ফাইনাল পরীক্ষায় শ্রী মৃণালকান্তি দে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। এরপর ১৯৭১ সালে পুনরায় শ্রী অশোক কুমার রায়, শ্রী তপন কুমার সাহা ও শ্রী শ্যামল কুমার সরকার ৮ম, ৯ম ও ১০ম স্থান অধিকার করে গোটা বাংলায় স্কুলটির নাম গৌরবান্বিত করেন।
২০০২ সালে বিদ্যালয়টি দ্বাদশ শ্রেণী বিশিষ্ট উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়।বিদ্যালয়টির প্রতি ছাত্রদের অটুট প্রেমই তাদের প্রতিবছর এই পুনর্মিলন উৎসব করতে অনুপ্রাণিত করে।