দ্বিতীয় প্রেমেই লাবনীর দেহ বোল্ডারের ওপর, গ্রেফতার দিদির দেওর সহ দুই
কলকাতা টাইমস :
কদিন আগে মন্দারমণির বালুচরে এক যুবতীকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ওই মৃতদেহ দেখেই পুলিশের সন্দেহ হয়েছিল এটা সম্ভবত পরিকল্পিত খুন। সেই সন্দেহই সত্যি হল। মন্দারমণিতে লাবণী দাস নামে ওই যুবতী খুনের ঘটনায় তাঁর দিদির দেওর প্রলয় দাসকে গ্রেফতার করল পুলিশ। প্রলয়ের এক বন্ধুকেও খুনে সাহায্য করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার নাম মনোজ গোস্বামী।
মৃত লাবণীর বাড়ি নদিয়ার তাহেরপুরে। তিনি কলেজে তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তাঁর দিদির বিয়ে হয়েছিল ব্যারাকপুরে। সেই সূত্রে সোদপুরে একটা বিউটি পার্লারে কাজ শিখতে যেতেন লাবণী। দিদির বাড়িতে সেই কারণেই ঘন ঘন যাতায়াত ছিল। এভাবেই দিদির বাড়িতে যাতায়াত করতে করতে দিদির দেওর প্রলয় দাসের সঙ্গে প্রেম হয় লাবণীর। ক্রমে সেই প্রেম গভীর থেকে গভীরতর হয়।
প্রলয় কলকাতায় অ্যাপ ক্যাব চালানোর কাজে যোগ দিয়েছিল। সেই কারণে দমদমে একটি বাড়ি ভাড়া করে থাকত। প্রতি শুক্রবার বিউটি পার্লারে কাজ শেখার নামে দমদমে প্রলয়ের সেই ভাড়া বাড়িতে আসতেন লাবণী। তাঁদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও তৈরি হয়েছিল বলে খবর।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কারণে লাবণী এর পর বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন। এরই মধ্যে প্রলয় আবার অন্য একটি প্রেম সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। সে খবর লাবণী জানতেও পেরে যায়। তা নিয়ে দুজনের মধ্যে অশান্তিও চলছে। সে সব নিষ্পত্তির নাম করেই লাবণীকে মন্দারমণিতে নিয়ে যায় প্রলয়। তার পর সেখানে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করে। প্রমাণ লোপাট করার জন্য চাঁদপুর মেরিন ড্রাইভে বোল্ডারের উপর তাঁর দেহ ফেলে রাখা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, এই কাজে প্রলয়কে সাহায্য করেছিল মনোজ। তাই তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
খুনের জন্য কেন মন্দারমণিকেই বেছে নেওয়া হল, সেই কাহিনিও রহস্যময়। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রলয় এক বন্ধু থাকত মন্দারমণি এলাকায়। তার নাম তাপস জানা। খুনের ঘটনার পর থেকেই তাপস পলাতক। হতে পারে তার বুদ্ধিতেই মেরিন ড্রাইভের উপর দেহ ফেলে রাখা হয়েছিল।