রাতজাগাতেই বুদ্ধির চাবিকাঠি !
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
সবারই একটা ধারণা রাত জাগা খুবই ক্ষতিকর অভ্যাস। বলা হতো রাত জাগা কোন বুদ্ধিমানের কাজ নয়। কিন্তু গবেষণায় এক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এথন মনে করা হয়, রাত হল আবেগের, কল্পনার, রোমান্সের এবং সংকটের। যখন তারাদের উদার প্রশ্রয়ে নির্দ্বিধায় বেরিয়ে পড়ে মানুষের সমস্ত অকৃত্রিম, সুপ্ত এবং অবদমিত দিকগুলি। রাত সেই সবকিছুর জন্য দুয়ার খুলে দেয়, যা দিনের বেলায় সূর্যের কঠোর পর্যবেক্ষণের আওতায় করার কথা কল্পনাও করা যায় না। খুব স্বাভাবিকভাবেই যারা রাত জাগে না, তারা রাতের আঁধারে মানুষের মানসিক এবং আবেগিক বিচিত্র পরিবর্তনগুলি সম্পর্কে অজ্ঞ থেকে যায়।
‘সাইকোলজি টুডে’ ম্যাগাজিনের মতে, বুদ্ধিমান মানুষ নিম্ন আইকিউধারী মানুষের তুলনায় বেশি রাত জাগে। আমেরিকান তরুণদের উপর করা এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দলের মধ্যে তুলনামূলকভাবে যারা বেশি বুদ্ধিমান, তারা অন্যদের চেয়ে দেরিতে ঘুমাতে যায়।
লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স এন্ড পলিটিকাল সায়েন্সের একজন মনোরোগ-বিশেষজ্ঞ সাতশি কানাজাওয়া ‘স্টাডি ম্যাগাজিন’কে বলেছেন, মানুষের গড় আইকিউ এবং ঘুমের প্যাটার্নের মধ্যে এমন সুনির্দিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে৷ যা প্রমাণ করে যে যারা রাতে কাজ করে তারা অধিক বুদ্ধিমত্তার অধিকারী। তাঁর গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, প্রাগৈতিহাসিককাল থেকেই আদিম মানুষেরা সূর্যের উদয় এবং প্রস্থানের সঙ্গে নিজেদের জীবন বিন্যস্ত করে নিয়েছিল।
গড়পড়তা মস্তিষ্কগুলি এই প্যাটার্নকে নির্দ্বিধায় মেনে নেয়, কিন্তু কৌতূহলি এবং বুদ্ধিদীপ্তরা অন্ধ আনুগত্যের পরিবর্তে নিজেদের মত করে নিয়ম তৈরি করে নেয়। এ হল অধিকাংশ মানুষের থেকে নিজেকে পৃথক করার, স্বকীয়তা সৃষ্টির এক অবচেতন উদ্যোগ।