চলো যাই -‘আন্দামান’ (পর্ব -১)
[kodex_post_like_buttons]
অনিন্দিতা বাড়ূই:
এক বছরের প্রস্তুতি শেষে অবশেষে পুরো পরিবার কে নিয়ে ঘুরে এলাম আন্দামান। এই এক বছরে বাধা বিপত্তি এসেছে অনেক। কখনো ফ্লাইট বাতিল হয়েছে তো কখনো কারোর শারীরিক অসুস্থতা। কিন্তু সব বাধা কাটিয়ে ২৭ শে অক্টোবর রাত ২.৪৫ এ যাত্রা শুরু হলো আমাদের। অসমবয়সী ১৪ জন মানুষ কে নিয়ে এটাই প্রথম বেড়াতে যাওয়া। তাই সবকিছু বেশ পরিকল্পিত ভাবেই করতে হয়েছিল এবং তার সাথে বাজেট এর কথাও মাথায় রাখতে হয়েছিল।
২৭ তারিখ ভোর ৫.৩৫ এ ইন্ডিগোর ফ্লাইট এ পোর্ট ব্লেয়ার এর উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। পোর্ট ব্লেয়ার পৌঁছালাম ৭.৩০ নাগাদ। আগে থেকেই ১৭ সিটের ট্রাভেলার বুক করা ছিল। সেই গাড়িই এয়ারপোর্ট থেকে হোটেল এ নিয়ে গেল আমাদের। আমরা ছিলাম ভাথু বস্তির হোটেল গ্যালাক্সি তে। হোটেল এ পৌঁছে ফ্রেশ হয়ে ব্রেকফাস্ট সেরে বেরিয়ে পড়লাম পোর্ট ব্লেয়ার এর কিছু জায়গা ঘুরতে। প্রথমেই গেলাম সমুদ্রিকা মিউজিয়াম। সাজানো গোছানো এই মিউজিয়াম টি তে কোরাল, ঝিনুক এবং সামুদ্রিক মাছের সংগ্রহ খুব ই আকর্ষণীয়। পরের গন্তব্য আনথ্রোপলজিকাল মিউজিয়াম। আন্দামান নিকবরের আদিবাসী সম্প্রদায়ের ক্রম বিবর্তন তুলে ধরেছে এই মিউজিয়াম টি। এরপর গেলাম ফিশারিজ মিউজিয়াম দেখতে। বিভিন্ন ধরণের সামুদ্রিক প্রাণীর নমুনা দেখা যেতে পারে এই জায়গা তে।
এরপর লাঞ্চ সেরে চললাম সেলুলার জেল দেখতে। লম্বা করিডোর বরাবর সারি দিয়ে কয়েদখানা যা কিনা বহু ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে। জেলের ছাদ থেকে সমুদ্র এবং রস আইল্যান্ড এর দৃশ্যও খুব ই সুন্দর। সেলুলার জেলে লাইট এন্ড সাউন্ড শো শুরু হয় সন্ধ্যে ৬টা থেকে। ৩টি শো থাকে যথাক্রমে ৬টা, ৭.১৫ এবং ৯টা থেকে। আমাদের আগে থেকেই ৭.১৫ র শো এর টিকিট কাটা ছিল অনলাইনে। তাই মাঝের সময়টা কাটাতে চললাম করবিনস কোভ বীচে। পড়ন্ত বিকেলে সমুদ্রের হওয়া খেতে খেতে সময়টা ভালোই কাটলো। অবশেষে গেলাম সেলুলার জেলে লাইট এন্ড সাউন্ড শো দেখতে। ইতিহাসের অনেক তথ্যই অজানা ছিল। জানলাম এবং শিহরিত হলাম। রাতের খাওয়া সেরে ফিরে পড়লাম হোটেলে। পরদিন ভোরে রওনা দেব হ্যাভলক আইল্যান্ড এর উদ্দেশ্যে। তাই ফোনে এলার্ম দিয়ে চললাম সবাই ঘুমের দেশে।
P.S : ১৭ সিটের এ.সি ট্রাভেলার গাড়ির ভাড়া পোর্ট ব্লেয়ার এর প্রতি পয়েন্ট এর জন্য ৬০০ টাকা। এয়ারপোর্ট পিক আপ এর জন্যও ৬০০ টাকা। এয়ারপোর্ট থেকে হোটেল যাওয়ার জন্য অটো ও পাওয়া যায়। হোটেলের লোকেশন মতো অটোর ভাড়া মোটামুটি ১০০-১৫০ এর মধ্যে হবে। আমরা যে হোটেল এ ছিলাম তার ভাড়া ছিল ১৫০০ টাকা।(hotel galaxy, contact no – 7063903548). আর ভেজ থালি থেকে চিকেন থালি সব ই মেলে মোটামুটি ১২০-২০০ টাকার ভিতরে।
আর ফ্লাইট ফেয়ার নিয়ে বলি যদি বেশ কিছুদিন আগে টিকিট কেটে রাখতে পারেন তাহলে মাথা পিছু ১০০০০ এর মধ্যেই হবে যাওয়া আসা মিলিয়ে। আমরাও তাই কেটেছিলম। কিন্তু আমাদের ফেরার ফ্লাইট বাতিল হয়ে যায় এবং দ্বিতীয়বার টিকিট যখন কাটি তখন ভাড়া বেশ কিছুটা বেড়ে গেছিলো। তাই জনপ্রতি ১৩০০০ টাকা লেগেছে ফ্লাইট এর জন্য।
আর সবশেষে বলি পুরো খরচের ডিটেইলস জানতে একটু ধৈর্য্য ধরে সব পর্ব গুলো পড়ুন। আমি শেষ পর্বে কোথায় কি খরচ হবে সেই ব্যাপারে বিস্তারিত লিখবো।
২৭ তারিখ ভোর ৫.৩৫ এ ইন্ডিগোর ফ্লাইট এ পোর্ট ব্লেয়ার এর উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। পোর্ট ব্লেয়ার পৌঁছালাম ৭.৩০ নাগাদ। আগে থেকেই ১৭ সিটের ট্রাভেলার বুক করা ছিল। সেই গাড়িই এয়ারপোর্ট থেকে হোটেল এ নিয়ে গেল আমাদের। আমরা ছিলাম ভাথু বস্তির হোটেল গ্যালাক্সি তে। হোটেল এ পৌঁছে ফ্রেশ হয়ে ব্রেকফাস্ট সেরে বেরিয়ে পড়লাম পোর্ট ব্লেয়ার এর কিছু জায়গা ঘুরতে। প্রথমেই গেলাম সমুদ্রিকা মিউজিয়াম। সাজানো গোছানো এই মিউজিয়াম টি তে কোরাল, ঝিনুক এবং সামুদ্রিক মাছের সংগ্রহ খুব ই আকর্ষণীয়। পরের গন্তব্য আনথ্রোপলজিকাল মিউজিয়াম। আন্দামান নিকবরের আদিবাসী সম্প্রদায়ের ক্রম বিবর্তন তুলে ধরেছে এই মিউজিয়াম টি। এরপর গেলাম ফিশারিজ মিউজিয়াম দেখতে। বিভিন্ন ধরণের সামুদ্রিক প্রাণীর নমুনা দেখা যেতে পারে এই জায়গা তে।
এরপর লাঞ্চ সেরে চললাম সেলুলার জেল দেখতে। লম্বা করিডোর বরাবর সারি দিয়ে কয়েদখানা যা কিনা বহু ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে। জেলের ছাদ থেকে সমুদ্র এবং রস আইল্যান্ড এর দৃশ্যও খুব ই সুন্দর। সেলুলার জেলে লাইট এন্ড সাউন্ড শো শুরু হয় সন্ধ্যে ৬টা থেকে। ৩টি শো থাকে যথাক্রমে ৬টা, ৭.১৫ এবং ৯টা থেকে। আমাদের আগে থেকেই ৭.১৫ র শো এর টিকিট কাটা ছিল অনলাইনে। তাই মাঝের সময়টা কাটাতে চললাম করবিনস কোভ বীচে। পড়ন্ত বিকেলে সমুদ্রের হওয়া খেতে খেতে সময়টা ভালোই কাটলো। অবশেষে গেলাম সেলুলার জেলে লাইট এন্ড সাউন্ড শো দেখতে। ইতিহাসের অনেক তথ্যই অজানা ছিল। জানলাম এবং শিহরিত হলাম। রাতের খাওয়া সেরে ফিরে পড়লাম হোটেলে। পরদিন ভোরে রওনা দেব হ্যাভলক আইল্যান্ড এর উদ্দেশ্যে। তাই ফোনে এলার্ম দিয়ে চললাম সবাই ঘুমের দেশে।
P.S : ১৭ সিটের এ.সি ট্রাভেলার গাড়ির ভাড়া পোর্ট ব্লেয়ার এর প্রতি পয়েন্ট এর জন্য ৬০০ টাকা। এয়ারপোর্ট পিক আপ এর জন্যও ৬০০ টাকা। এয়ারপোর্ট থেকে হোটেল যাওয়ার জন্য অটো ও পাওয়া যায়। হোটেলের লোকেশন মতো অটোর ভাড়া মোটামুটি ১০০-১৫০ এর মধ্যে হবে। আমরা যে হোটেল এ ছিলাম তার ভাড়া ছিল ১৫০০ টাকা।(hotel galaxy, contact no – 7063903548). আর ভেজ থালি থেকে চিকেন থালি সব ই মেলে মোটামুটি ১২০-২০০ টাকার ভিতরে।
আর ফ্লাইট ফেয়ার নিয়ে বলি যদি বেশ কিছুদিন আগে টিকিট কেটে রাখতে পারেন তাহলে মাথা পিছু ১০০০০ এর মধ্যেই হবে যাওয়া আসা মিলিয়ে। আমরাও তাই কেটেছিলম। কিন্তু আমাদের ফেরার ফ্লাইট বাতিল হয়ে যায় এবং দ্বিতীয়বার টিকিট যখন কাটি তখন ভাড়া বেশ কিছুটা বেড়ে গেছিলো। তাই জনপ্রতি ১৩০০০ টাকা লেগেছে ফ্লাইট এর জন্য।
আর সবশেষে বলি পুরো খরচের ডিটেইলস জানতে একটু ধৈর্য্য ধরে সব পর্ব গুলো পড়ুন। আমি শেষ পর্বে কোথায় কি খরচ হবে সেই ব্যাপারে বিস্তারিত লিখবো।