November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular সফর

চলো যাই আন্দামান (পর্ব ৩)

[kodex_post_like_buttons]

অনিন্দিতা বারুই

জ নীল আইল্যান্ড যাওয়ার পালা। ভোরে উঠে শেষ বারের মতো প্রানভরে দেখে নিলাম হ্যাভলক আইল্যান্ড কে। রিসর্ট থেকে বেরোলাম ৭.৩০ নাগাদ। ৮.৩০ র গ্রিন ওশান ২ তে পাড়ি দিলাম নীল আইল্যান্ড এর পথে। ঘন্টাখানেক পরে পৌঁছালাম নীল আইল্যান্ড। জেটি থেকে দুটো গাড়িতে সবাই চললাম হোটেলে। প্রসঙ্গত বলি এই আইল্যান্ড টি খুবই ছোট। তাই এখানে জেটি থেকে হোটেলে ড্রপ, সাইটসীন এবং পরদিন হোটেল থেকে জেটি ড্রপ পুরোটা মিলিয়ে একটা প্যাকেজ এ গাড়ি পাওয়া যায়। ৭ সিটের গাড়ি প্রতি ৬০০ টাকা পরে। 
আমরা ছিলাম সার্থক রেসিডেন্সি তে। রুমে ব্যাগ রেখেই বেরিয়ে পড়লাম জায়গাটা ঘুরতে।হোটেল থেকে ভরতপুর বীচ বেশি দূরে নয়। চাইলে কেউ হেঁটেও যেতে পারেন। আমরা যদিও গাড়িতেই গিয়েছিলাম সবাই মিলে। সমুদ্র শান্ত এখানে। জল এতই স্বচ্ছ যে গভীর সমুদ্রে দাঁড়িয়েও নিজের পায়ের পাতা দেখা যায়। এই বীচে এডভেঞ্চার এক্টিভিটি হয় সব রকম। আর ইচ্ছে মতো জলে গা ভাসিয়ে স্নান ও করা যায়। আমরা প্রথমেই সবাই গেলাম গ্লাসবটম করতে। যারা অসুবিধার কারণে সমুদ্রে নামতে পারেননা তাদের জন্য গ্লাসবটম ট্যুর খুব ই আদর্শ সমুদ্রের নিচের জগৎ দেখার জন্য। এরপর সমুদ্রে স্নান সেরে বীচেই চেঞ্জিং রুমে পোশাক বদলে লাঞ্চ সেরে বেরিয়ে পড়লাম লক্ষণপুর ২ বীচ দেখতে। এই বীচের মূল আকর্ষণ ন্যাচারাল ব্রিজ । এছাড়াও মৃত কোরাল এর ওপর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে বিভিন্ন জলজ প্রাণীর ও দেখা মেলে। 
সবশেষে গেলাম লক্ষণপুর ১ বীচে সূর্যাস্ত দেখতে। যদিও মেঘের কারণে সেই আশা পূরণ হলোনা। সন্ধ্যের মুখে ফিরে এলাম হোটেলে। বাকি সময়টা কাটলো আড্ডা গল্প আর খাওয়া দাওয়া তে। পরদিন সকালে ব্রেকফাস্ট সেরে বেরিয়ে পড়লাম আবার। এবার পোর্ট ব্লেয়ার ফেরার পালা। ৯.৪৫ এর ক্রুজে রওনা দিলাম আমরা। পোর্ট ব্লেয়ার পৌঁছাতে প্রায় ১১.৩০ বাজলো। পোর্ট ব্লেয়ার এ ছিলাম আবারও হোটেল গ্যালাক্সি তে। জেটি থেকে আগের মতোই ১৭ সিটের ট্রাভেলার এ করে পৌছালাম হোটেলে। পাশেই একটি বাঙালি হোটেলে দুপুরের খাওয়া সেরে ৩টে নাগাদ বেরোলাম চিডিয়াতাপু র উদ্দেশ্যে। এখানে বলি চিডিয়াতাপু বীচ মূলত বিখ্যাত সূর্যাস্ত দেখার জন্য। সূর্যাস্ত হতে তখনও দেরি ছিল তাই আমরা প্রথমে গেলাম মুন্ডা পাহাড়। সকালে গেলে জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে মুন্ডা পাহাড়ে ট্রেক করা যায়। আমরা বিকেলে গিয়েছিলাম বলে সেটা সম্ভব হয়নি। কিছুটা সময় এখানে কাটিয়ে ৪.৩০ নাগাদ গেলাম সানসেট পয়েন্টে। গিয়ে দেখলাম অনেক লোকজন অপেক্ষায় বসে। কিন্তু নিরাশ হতে হলো সকলকেই। মেঘের কারণে সূর্যাস্ত দেখা গেলোনা। তবে বিকেলের পড়ন্ত আলোয় চারদিকের পরিবেশ হয়ে উঠেছিল মোহময়ী। এরপর আবার হোটেলে ফেরার পালা। পরদিন ভোর ৩টায় রওনা দেব বারাতাং এর পথে। তার আগে একটু বিশ্রাম…
P.S:
নীল আইল্যান্ড এ ছিলাম সার্থক রেসিডেন্সি তে। ঘরভাড়া ১৫০০ টাকা(নন এসি) এবং ২৭০০(এসি). ( Contact no. – 9933267010, whatsapp no- 9474276730)
নীল আইল্যান্ড এ অটো তেও ঘুরতে পারেন। জেটি থেকে হোটেলে পৌঁছে দিতে অটো তে ১০০টাকা নেয়।
খাবারের দাম পোর্ট ব্লেয়ার এর মতোই। ১৫০-২০০ টাকার মধ্যে সবরকম থালি মিলবে।পোর্ট ব্লেয়ার এর হোটেল ডিটেইলস প্রথম পর্বে দেয়া আছে।
পোর্ট ব্লেয়ার থেকে চিডিয়াতাপু যেতে ১৭ সিটের গাড়িতে নিয়েছিল ২৮০০ টাকা।

Related Posts

Leave a Reply