৫০ বছর পরে হলেও পৌছালো তো !
কলকাতা টাইমস :
শম্বুক গতিরও একটা গতি থাকে! কচ্ছপও এক সময় ধীর পায়ে তার দূরত্ব পেরোয়। কিন্তু তাই বলে দিন নয়, মাস নয় কিংবা এক বা দু’বছরও নয়! গুণে গুণে পাক্কা ৫০ বছর পর যদি কেউ গন্তব্যে পৌঁছায়, তখন? শামুক বা কচ্ছপ নয়, একটি চিঠি প্রাপকের ঠিকানায় পৌঁছে দিতে উন্নত দেশ অস্ট্রেলিয়ার ডাকবিভাগ এতো দীর্ঘ সময়ই নিয়েছে!
পোস্টকার্ডে লেখা চিঠিটি পাঠানো হয়েছিলো সাউথ প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে অ্যাডিলেইডের বাসিন্দা জনৈক ‘রবার্ট গিওর্গিও’র বাড়ির ঠিকানায়। ধূলিমলিন পোস্টকার্ডের গায়ে ১৯৬৬ সালের সিল-ছাপ্পড় মারা। সম্প্রতি এক যুগল তাদের বাড়ির দরজার সামনে পোস্টকার্ডটি দেখতে পান। তারাই বাড়িটির বর্তমান বাসিন্দা।
এ ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে চাউড় হবার পর বিব্রত অস্ট্রেলীয় ডাক বিভাগ ক্ষমা প্রার্থনা করেছে। চিঠিটি লিখেছেলেন যিনি তার নাম ‘ক্রিস’। ক্রিস চিঠির এক জায়গায় গিওর্গিওকে উদ্দেশ্য করে প্রাপক লিখেছেন: ‘এখানে আমি নিজেকে দারুণ উপভোগ করছি। এখানকার আবহাওয়া বেশ গরম… ইংল্যান্ডে পৌঁছে আমি তোমার জন্য একটা বার্তা রেখে যাওয়ার চেষ্টা করবো।’
কিন্তু ডাক বিভাগের গদাই লস্করি চালের কারণে চিঠি খুঁজে পেল না তার প্রাপককে!