September 29, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular বিনোদন

এই তারকার জীবনটা শেষ হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু….

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

মহিলাদের সুন্দরতা সবসময় একটা মাপের মধ্যে সীমিত  করে ধরা হয়। সেই মাপের বাইরে মানেই নানা ত্রুটি বিচ্যুতি। কিন্তু সবাই তো পারফেক্ট হয়ে জন্মায় না। আর তাতেই যেন তার গোটা বিশ্ব শেষ। যেমনটা হয়েছিল ব্রিটিশ মডেল ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব গেইল পর্টারের ক্ষেত্রে। রিটেনের হাউজ অব পার্লামেন্টের ভবনের দেয়ালে ফুটে উঠল এক নগ্ন মহিলার ১০০ ফুট দীর্ঘ ছবি। তাকে সবাই চেনেন। তিনি নব্বইয়ের দশকের দারুণ জনপ্রিয় ব্রিটিশ মডেল ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব গেইল পর্টার। সেই সময় পুরুষ বিষয়ক ম্যাগাজিন ‘এফএইচএম’-এ কাভার গার্ল হওয়ার পর আর পিছে ফিরে তাকাতে হয়নি। কিন্তু জাঁকজমকপূর্ণ সেলিব্রিটির জীবন কাটালেও সারাটা জীবন মানসিক যাতনায় ভুগেছেন তিনি। অস্বস্তিকর কারণ ছিল তার স্তনযুগল।

দ্য সানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি সেসব কথাই বলেছেন তিনি। বলেন, আমার জীবনটা শেষ করে দিয়েছেন স্তন দুটো। মানসিক অত্যাচারের কারণ হয়ে দাঁড়ায় তার প্রকৃতিগতভাবে অস্বাভাবিক বেড়ে ওঠা স্তন। ১৯৯৯ সালে এফএইচএম ম্যাগাজিনের জন্য যখন ফটোশুটে দাঁড়ান, তখন গেইলের ৫ ফুট ২  ইঞ্চি দেহে স্তনের মাপ ছিল ৩০ডিডি।

এখন তার বয়স ৪৫, এক সন্তানের জননী। জানালেন, এই বড় আকৃতিক স্তন দুটোকে আমি রীতিমতো ঘৃণা করতাম। আমার যে ছবি হাউজ অব পার্লামেন্টে বিম করা হয়েছে, ওটা দেখেও আত্মবিশ্বাস হারাই স্তনের কারণে।

জীবনযাপন, চিন্তা ও খাদ্যাভ্যাসে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। গেইল আক্রান্ত হন অ্যানোরেক্সিয়া ডিসঅর্ডারে। বলেন, যতভাবেই দেহের যত্ন নিই না কেন, সব প্রভাব গিয়ে পড়ে স্তনের ওপর। ওজন বাড়লে ওখানেই বাড়ে।

অবশেষে দুই মাস আগে স্তন দুটোর আকার ছোট করে আনার সিদ্ধান্ত নেন পর্টার। এটাই আমার জীবনের সেরা সিদ্ধান্ত, অকপটে বলেন গেইল। বলতে থাকেন, অনেকেই মনে করে স্তনের আকার বড় হওয়াই ভালো। কিন্তু এদের নিয়ে আমাকে জীবনে দারুণ সংগ্রাম করতে হয়েছে। আমার ছোট দেহে এগুলো এতই বড় আকারের ছিল যে তার প্রভাব আমার পিঠে পর্যন্ত পড়েছে।

Related Posts

Leave a Reply