ছাঁটাইয়ের রোষে সুন্দর
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘‘আমরা ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত আরও ভাল ভাবে খতিয়ে দেখার অনুরোধ করছি। আমাদের সংস্থা দীর্ঘদিন ধরে গ্রাহক এবং কর্মীদের প্রতি সুবিচার করে আসছে। ‘‘আলফাবেটের (গুগ্লের মূল সংস্থা) তরফে কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত বিশ্বব্যাপী মানুষের উপর প্রভাব ফেলেছে এবং কর্মীদের পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেখা হয়নি। আমরা জানি যে, আমরা একত্রে থাকলে বেশি শক্তিশালী। আমাদের কন্ঠস্বর আপনাদের কাছে পৌঁছানোর জন্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা সংস্থার কর্মীরা একত্রিত হচ্ছেন।’’
সুন্দরের কাছে পাঠানো চিঠিতে পাঁচটি দাবির কথাও জানিয়েছেন সংস্থার কর্মীরা। ছাঁটাই প্রক্রিয়া চলাকালীন সমস্ত নতুন নিয়োগকে স্থগিত করতে হবে, কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে ছাঁটাই করা কর্মীদের আগে সুযোগ দিতে হবে (প্রয়োজনে কোনও ইন্টারভিউ ছাড়াই নিয়োগ করতে হবে), যুদ্ধ পরিস্থিতির মুখে থাকা দেশগুলিতে (যেমন ইউক্রেন, রাশিয়া ইত্যাদি) কর্মরত সহকর্মীদের ছাঁটাই করা যাবে না, নির্ধারিত ছুটির প্রতি সম্মান করতে হবে (যেমন মাতৃত্বকালীন বা শিশুর পরিচর্যার জন্য নেওয়া ছুটি) এবং ছুটিতে থাকতে থাকতেই ছাঁটাইয়ের নোটিস দেওয়া যাবে না।
সুন্দরকে পাঠানো এই চিঠিতে গুগ্লের ১৪০০ কর্মীর স্বাক্ষর রয়েছে।
সম্প্রতি ‘ছাঁটাই অভিযানে’ নেমেছে গুগ্ল, মাইক্রোসফ্ট-সহ অনেকগুলি বহুজাতিক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা। ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চাকরি করা কর্মীদেরও রেয়াত করছে না গুগ্ল। যদিও সুন্দরের দাবি, এত সংখ্যক কর্মী ছাঁটাইয়ের কারণ হল অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ। তিনি জানিয়েছেন, বিগত দু’বছরে প্রচুর কর্মী নিয়োগ করেছে সংস্থা। অর্থনৈতিক মন্দার সময় এই ছাঁটাই প্রক্রিয়া সংস্থার বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে বলেও তাঁর দাবি। বরখাস্ত কর্মীদের চার মাসের বেতন-সহ বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে বলেও গুগ্ল জানিয়েছে।