ইনি মারা যেতেই ‘লন্ডন ব্রিজ ভেঙে পড়বে’
কলকাতা টাইমস :
গত ছয় দশকে কোন রাজা বা রাণীর মৃত্যু দেখেনি ব্রিটিশরা। নব্বই বছর বয়সী রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ যদি মারা যান তাহলে কি হবে? এ নিয়ে প্রচুর লেখালেখি হয়েছে ব্রিটেনের প্রথমসারির গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন পত্রিকায়। জানা গেছে, রাণী মারা যাওয়ার পর তার কাছের লোকদের কাছে যে সাংকেতিক বার্তাটি পাঠানো হবে সেটা হলো-‘লন্ডন ব্রিজ ইজ ডাউন’ মানে ‘লন্ডন ব্রিজ পড়ে গেছে’। রাণীর চোখ বন্ধ করে দেওয়া হবে। চার্লস রাজা হবেন। রাজপরিবারের সবাই তার হাতে চুমু খাবেন ।
আর পুরো বিশ্বকে জানানোর দায়িত্ব যে পালন করবে সে হলো রাণীর ব্যক্তিগত সহকারী স্যার ক্রিস্টোফার গেইত। দুই দুইবার নাইট উপাধি প্রাপ্ত এই ব্যক্তিগত সহকারী প্রথমে ফোন করবেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীকে। প্রধানমন্ত্রী ঘুমিয়ে থাকলে তাকে জাগানো হবে এবং সাংকেতিক বার্তাটি জানিয়ে দেওয়া হবে। আর রাণী এলিজাবেথ অন্য যে ১৫ টি রাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রপ্রধান তাদেরকে জানানো হবে।
কোন গণমাধ্যম বিশেষ সুবিধা পাবেনা। সবগুলো গণমাধ্যমকে একসাথে জানানো হবে। বাকিংহাম প্যালেসের ওয়েবসাইটে শুধু একটি বার্তা লেখা থাকবে। সকল রেডিও স্টেশনকে সতর্কবাণী পাঠিয়ে দেওয়া হবে যেন তারা অশ্লীল কোন গান না বাজান। জাতীয় বিপর্যয়ের খবর আসছে বলে তাদেরকে সতর্ক করে রাখা হবে। এ সময়ে নির্দোষ গান বাজানো যেতে পারে।
খবর পাঠক পুরুষরা কালো স্যুট ও টাই পরবেন । যেকোন প্রোগ্রাম যেকোন সময় বন্ধ করে দেওয়া হবে। পর্দায় রাজকীয় পতাকা ভেসে উঠবে। জাতীয় সংগীত বাজানো হবে-‘ইউ উইল রিমেমবার হোয়ার ইউ ওয়েআর’ (তুমি মনে রাখবে কোথায় ছিলে তুমি)।