৭ বিশ্বসেরার স্পন্দন থামিয়ে দেওয়া প্রেমপত্র

কলকাতা টাইমস :
এই সেদিনও ছিল হাতে হাতে প্রেমপত্র গুঁজে দেওযার দিন। হোয়্যাটস আপ মেসেজের যান্ত্রিক দাপাদাপি তখনও ছিল না। দুরুদুরু বুকে কাঁপা হাতে লেখাগুলোই ধরে রাখত অনুভবের প্রথম আলো। স্কুলফেরত রাস্তায় বিকেলের আলোকে সাক্ষী রেখে হাতে হাতে পৌঁছে যাওয়া সেই সব প্রেমপত্ররা আজকের প্রজন্মের কাছে অচেনা। কিন্তু পৃথিবীর তাবড় ব্যক্তিরাও প্রেমপত্র লিখেছেন। নেপোলিয়ান খেকে কবি কীটস, চার্চিল থেকে হেন্ড্রিক্সের সে প্রণয়প্রস্তাব দিয়ে যাবে চিরকালীন রোমান্সের খোঁজ। ব্যক্তিগত বা পেশাগত জীবনে তাঁরা যে যেমনই হোন না কেন, তাঁদের রোম্যন্টিক মনে স্মারক এই লেখাগুলি। যেমন:
১. জন কীটস প্রতিবেশীনি ফ্যানি ব্রাউনিকে চিঠি লিখেছিলেন। তাঁর কবিতার মতোই দ্যুতিময় সে চিঠি। আর তার ভিতর থেকেও উঠে আসে এমন নিমগ্ন কথা, ভালবাসা আমাকে স্বার্থপর করেছে। তোমাকে ছাড়া আমার অস্তিত্ব নেই। আমি প্রায় সবকিছুই ভুলে যাই, কিন্তু তোমাকে আবার দেখার কথা ভুলতে পারি না।
২. হেমিংওয়ে তাঁর প্রেমিকাকে দেওয়া এক চিঠিতে লিখেছিলেন- হাত বাড়িয়ে তোমাকে পেলে প্রতিবার কী যে অনুভূতি হয়, আমি বলে বোঝাতে পারব না। মনে হয়, আমি আমার ঘরেই আছি। খুব বেশী কিছু ঘটনা নয়। কিন্তু আমরা সবসময় আনন্দে থেকেছি।
৩. বেটোফন লিখেছিলেন বহু চিঠি, যার মধ্যে ছিল এরকম রোম্যান্টিক কথা- ভালোবাসা সবকিছু দাবী করে। সে দাবি মেনেই-তোমার জন্য আমি এবং আমার জন্য তুমি।
৪. নেপোলিয়নের মতো দুর্ধর্ষ যোদ্ধাও যখন রোম্যান্টিক, তখন তিনি লেখেন, অনুকরণীয় জোসেফাইনের জাদু যেন জ্বলতেই থাকে, আর তার শিখা জেগে থাকে আমার হৃদয়ে।
৫. মায়াহরিণী এলিজাবেথ টেলরের সৌন্দর্যের উপাসনা করে রিচার্ড বার্টন লেখেন- তুমি অবশ্য জানবে না, তুমি চিরকাল কী আশ্চর্যরকম সুন্দর। এও জানবে না যে, কী চমৎকার বিপজ্জনক রমণীয়তা তোমার অর্জিত, যা তুমি যোগ করেছ তোমার লাবণ্যে।
৬. জিমি হেন্ড্রিক্স লিখেছিলেন, সুখ তোমার মধ্যেই আছে। শুধু হৃদয়ের আগলটুকু খুলে দাও, আর বড় হয়ে ওঠো।
৭. চার্চিল তাঁর স্ত্রীকে লিখেছিলেন, ভালোবাসার যদি কোনও অ্যাকাউন্ট থেকে থাকে, তবে তোমার কাছে ঋণে আমি যারপরনাই খুশি। তোমার সঙ্গে আর তোমার হদয়ে বেঁচে থাকার এ অনুভূতি, আমি কোন ভাষায় বা প্রকাশ করব।