ভালোবাসার কাছে হার মানল শত কোটি টাকা
মালায়শিয়ার শীর্ষ ধনীদের একজনের কন্যা অ্যাঞ্জেলাইন ফ্রান্সিস খুও বিশ্ববাসীর কাছে সে রকম এক নিদর্শন রাখলেন। ২০০৮ সালে ইংল্যান্ডে পড়তে গিয়ে জেডিডিয়া ফ্রান্সিস নামের এক ছেলের সাথে বন্ধুত্ব হয় তার। সেই বন্ধুত্ব ধীরে ধীরে প্রেমের সম্পর্কে পরিণত হয়। এ সম্পর্কের জোরেই পেশায় ডাটা সাইনটিস্ট প্রেমিক জেডিডিয়াকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন অ্যাঞ্জেলাইন।
কিন্তু বাধ সাধেন অ্যাঞ্জেলাইনের বাবা প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ সম্পদের স্বত্বাধিকারী এবং মালয় ইউনাইটেড ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান কেয় প্যাং। তিনি অ্যাঞ্জেলাইনের এই সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার বদলে কন্যাকে ছুঁড়ে দেন একটি কঠিন পরীক্ষা। মালয় ইউনাইটেড ইন্ডাস্ট্রির এই চেয়ারম্যান তার কন্যাকে জানান- জেডিডিয়াকে বিয়ে করলে পিতার সাথে সমস্ত সম্পর্ক ত্যাগ করতে হবে, এমনকি কেয় প্যাং এর বিশাল সম্পত্তি এবং বিলাসবহুল জীবন থেকেও তাকে বিতারিত করা হবে।
ধনীর সন্তান হয়ে জীবনের একটা বড় অংশ কাটিয়ে দেওয়ার পর সব কিছু ছেড়ে দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত বেশ কঠিন ছিল অ্যাঞ্জেলাইনের জন্য। তবুও প্রেম মানে না কোনো বাধা, দীর্ঘদিনের ভালোবাসাকে স্বীকৃতি দিতেই শেষ পর্যন্ত এই নারীকে বাবার কয়েক শ’ কোটি টাকার সম্পত্তির অধিকার বিসর্জন দিতে হলো। তবুও যুগে যুগে ভালোবাসার জয় হোক এভাবেই।