চোখের বারোটা না বাজাতে চাইলে এখুনি ফেলুন কম দামি সানগ্লাস
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
বাইরে বের হলেই পরতে হচ্ছে সানগ্লাস, কারণ এখন গ্রীষ্মকাল। চারদিকে গনগনে রোদ। হাঁটতে হাঁটতে চোখে পড়ছে ফুটপাতে সাজানো কম দামি সানগ্লাস। তা দেখেই সাময়িক আরাম আর ফ্যাশন করতে দেদারসে কেনা হচ্ছে এই সানগ্লাস।
কিন্তু অনেকেই জানেন না যে কিছু টাকা বাঁচাতে গিয়ে নিজের কত বড় বিপদ ডেকে নিয়ে আসেন। এমন কি হারাতে পারেন দৃষ্টিশক্তি। কীভাবে? আসুন সেটা জেনে নেই।
কম দামি সানগ্লাসে তৃতীয় শ্রেণির প্লাস্টিক ব্যবহৃত হয়। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি আটকানোর কোনো ক্ষমতা নেই এর। উল্টো চোখের জন্য তা ভয়ঙ্কর ক্ষতিকর। রোদের কবল থেকে চোখ বাঁচাতে গিয়ে বরং বিপদ ডেকে আনছেন। চিকিৎসকরা বলছেন, এ বিপদ অনেক ভয়ঙ্কর।
জানা যায়, কম দামি সানগ্লাস ছোট-বড় সবাই ব্যবহার করছে। ছোটদের সান্ত্বনা দিতে আমরা রাস্তা থেকে খেলনা চশমা কিনে দেই। পরবর্তীতে এদের চোখে সমস্যা দেখা দেয়। শুধু তা-ই নয়, এসব কম দামি সানগ্লাসের কারণে চল্লিশ বছর বয়সেই চোখে ছানি পড়ে যাচ্ছে। একটানা পানি পড়ছে চোখ থেকে। হঠাৎ শুকিয়ে যাচ্ছে চোখের কর্নিয়া।
তাছাড়া কম দামি সানগ্লাস ব্যবহারকারীরা আক্রান্ত হচ্ছেন ‘রিফ্রাক্টিভ এরর’ নামক রোগে। কম দামি সানগ্লাসের ফলে অমূল্য সম্পদ চোখেরই বারোটা বেজে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে কম দামি চশমা পরলে হতে পারে ‘আইলিড’ ক্যান্সারও।
এছাড়া ফুটপাতের সানগ্লাসের পাওয়ার ঠিক নেই। তাই ভুল পাওয়ারের জন্য মাথাব্যথা হতে পারে। শুধু পলিকার্বোনেট লেন্সই অতিবেগুনি রশ্মি আটকাতে পারে। সে জন্য অপটোমেট্রিস্টের কাছে গিয়ে সানগ্লাস পরীক্ষা করিয়ে নেয়া উচিত।
আর সানগ্লাস কেনার আগে তাতে পলিকার্বোনেট লেয়ার আছে কিনা সেটা জেনে নিন। শুধুমাত্র ফ্যাশন দেখাতে গিয়ে নিজের ও নিজের পরিবারের ক্ষতি ডেকে আনার কোনো মানে হয় না। তাই সানগ্লাস কেনার আগেই সচেতন থাকুন।