আছে নাকি মাছ বা পতাকা? তাহলেই সৌভাগ্য নিশ্চিত!
কলকাতা টাইমস :
কোনও ব্যক্তির কোষ্ঠী বিচার করেযেমন তাঁর আচরণ ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যায়, ঠিক তেমনই হাতের তালুতে থাকা বিভিন্ন রেখা ও চিহ্ন দেখেও একজন ব্যক্তির সম্পর্কে অনেক তথ্য জানা যায়। হস্তরেখা শাস্ত্র অনুসারে, হাতে অনেক ধরনের শুভ ও অশুভ চিহ্ন, রেখা ও আকৃতি তৈরি হয়। এর মধ্যে কিছু চিহ্ন এবং রেখাকে খুব শুভ বলে মনে করা হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক, হাতের তালুতে কোন কোন চিহ্ন থাকা খুব শুভ –
মাছের চিহ্ন : হাতে দু’টি ভাগ্য রেখা আছে? তাহলে জীবনে অনেক লড়াই করতে হতে পারে! অনেকের হাতের তালুতে কিছু রেখা একে অপরের সঙ্গে মিলিত হয়ে মাছের আকৃতি ধারণ করে। হস্তরেখাশাস্ত্রে, তালুতে মাছের চিহ্ন থাকা অত্যন্ত শুভ। অনেকের হাতের আবার মাছের চিহ্ন কেতু বা চন্দ্র পর্বতের উপরে তৈরি হয়। মাছের আকৃতির এই চিহ্নটি যদি মণিবন্ধ অর্থাৎ যেখান থেকে কব্জি এবং হাতের তালু শুরু হয়, সেখানে তৈরি হয়, তাহলে সেই ব্যক্তিটি খুব ভাগ্যবান হন। এরা ধার্মিক এবং শান্ত প্রকৃতির হয়। এরা তাদের মূল বাসস্থান থেকে অন্য কোথাও গিয়ে বাস করেন।
পতাকা চিহ্ন ; হাতে পতাকার চিহ্ন থাকা অত্যন্ত শুভ মনে করা হয়। যদি জীবন রেখা থেকে বেরিয়ে কোনও সরল রেখা বৃহস্পতি পর্বতের মধ্য দিয়ে যায় এবং অন্য প্রান্তে গিয়ে বর্গক্ষেত্রের মতো হয়ে যায়, তাহলে তাকে পতাকার আকৃতি বলা হয়। এই আকৃতিটি বুড়ো আঙুলের নীচে তর্জনীর কাছে তৈরি হয়। এই চিহ্নও ব্যক্তির জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি নিয়ে আসে।
স্বস্তিক চিহ্ন : স্বস্তিক চিহ্ন অত্যন্ত শুভ, এটা কারুরই অজানা নয়। হিন্দু ধর্মে এই চিহ্নটির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। হস্তরেখা শাস্ত্র অনুসারে, যদি গুরু পর্বতে এবং বুধ পর্বতে স্বস্তিক চিহ্ন তৈরি হয়, তবে সেই ব্যক্তির জীবনে কখনও ধন-সম্পদের অভাব হয় না। আর্থিক লাভ হয়।
পদ্ম চিহ্ন : পদ্ম ফুল হল দেবী লক্ষ্মীর প্রিয়। যদি কোনো ব্যক্তির হাতের তালুতে পদ্ম ফুলের চিহ্ন থাকে, তাহলে তাঁর উপর সর্বদা মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ থাকে।
মন্দিরের চিহ্ন : যদি কোনও ব্যক্তির হাতের তালুতে বৃহস্পতি পর্বতের নীচে মন্দিরের চিহ্ন থাকে, তবে সেই ব্যক্তি অত্যন্ত ভাগ্যবান হন। খুব কম মানুষের হাতের তালুতে এই চিহ্ন তৈরি হয়। এই ধরনের লোকেরা সবসময় নিজেদের শর্তে জীবনযাপন করেন।