মোদির বিজয়ে আখেরে লাভ শেখ হাসিনার !
কলকাতা টাইমস :
ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বিজেপি সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে। আর নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন দলের এ বিজয়ের ফলে ভারতের রাজনীতিতে বিজেপির অবস্থান আরও পাকাপোক্ত হলো। ফের দিল্লির মসনদে বসতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী।
সাম্প্রতিক নির্বাচনে বিজয়ের পর আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্যগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগ করার ক্ষমতা আগের তুলনায় বেড়েছে মোদির। এক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ওপরও চাপ প্রয়োগের সুযোগ তৈরি হয়েছে তার। আর এতে বাংলাদেশের সঙ্গে দুটি নদীর জল বন্টনের আলোচনাও গতি পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। বহুদিন ধরেই তিস্তা ও গঙ্গা ব্যারাজের মাধ্যমে পদ্মা নদীর জল বন্টন আলোচনা এক্ষেত্রে নতুন করে এগোতে পারে।
জানা গেছে, তিস্তা চুক্তির বিষয়ে একটি প্রস্তাব ইতোমধ্যেই তৈরি করেছেন ভারতীয় জল বিশেষজ্ঞরা এবং এ বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা। তবে এ চুক্তির বিষয়ে বরাবরই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতার বিরোধীতা রয়েছে। বিজেপি নেতাদের মতে, মোদি সর্বদা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেন এবং তিনি চান না যে জল বন্টন নিয়ে বিরোধের কারণে ঢাকা চীনের দিকে ঝুঁকে পড়ুক।
পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান ত্রিপুরার গভর্নর তথাগত রায়ও এ বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ভাটির দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অধিকারকে সম্মান করা উচিত।’ তাই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন মোদির এই ক্ষমতায়নে আখেরে লাভ হবে হাসিনা সরকার অর্থাৎ বাংলাদেশের।
তবুও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের বিরোধের কারণে বহুদিন ধরে তিস্তা চুক্তির বিষয়টি আটকে আছে। তবে সাম্প্রতিক নির্বাচনের ফলসূত্রে মোদির এমন ক্ষমতা বৃদ্ধি নতুন করে আশা যোগাচ্ছে এ বিরোধ দূর করার।
সম্প্রতি ভারতে এক সমীক্ষা চালিয়েছে সিএসডিএস-হিন্দু। এতে ভারত কোন দেশকে বিশ্বাস করতে পারে তেমন একটি প্রশ্ন ছিল। এ প্রশ্নে বাংলাদেশকেই সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করা যায় বলে জানিয়েছে ৪৮ শতাংশ ব্যক্তি। অপরদিকে, বাংলাদেশের পরের অবস্থানেই রয়েছে রাশিয়া (৪৬%)।