কলকাতা টাইমস :
কোমর ব্যথার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। তবে সুনির্দিষ্টভাবে হাঁটতে কষ্ট হলে সেটা হিপ জয়েন্টের সমস্যা বলে প্রাথমিকভাবে ধরে নেওয়া হয়। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা না নিলে পরবর্তী সময়ে এই সমস্যা খুব তীব্র হতে পারে। কিভাবে বুঝবেন আপনি হিপ অস্টিওআর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত? প্রথম ও প্রধান লক্ষণ হচ্ছে কোমরে ব্যথা হয়।
পা ফেলে হাঁটতে কষ্ট হয়।
কোমর থেকে পা এক পাশে সরাতে কষ্ট হয়।
পা সোজা করে ওপরে ওঠাতে কষ্ট হতে পারে।
কোমরের জয়েন্টে অস্টিওআর্থ্রাইটিস হলে কোনো এক পর্যায়ে কোমর সোজা করে দাঁড়াতে, এমনকি যেকোনো পাশ ফিরতেও অত্যন্ত ব্যথা হয়।
কোমরের জয়েন্টে অস্টিওআর্থ্রাইটিস হওয়ার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ জানা যায়নি। তবে কিছু ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা এই রোগের জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়। পরিবারের কোনো সদস্যের অস্টিওআর্থ্রাইটিস রোগ থাকলে অন্য সদস্যদের হওয়ার আশঙ্কা থাকে। শরীরের ওজন বেশি থাকলে জয়েন্টের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে।
এ থেকেও অস্টিওআর্থ্রাইটিস হতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে হিপ জয়েন্টে আঘাতজনিত কারণে দীর্ঘ সময় ধরে অস্টিওআর্থ্রাইটিস হতে পারে। হাই হিল বা অস্বাভাবিক ধরনের জুতা পরার কারণে কোমরের জয়েন্টের বল ও সকেট সঠিকভাবে পজিশন না হলে দীর্ঘ সময় পর অস্টিওআর্থ্রাইটিস হতে পারে।
চিকিৎসা
মূলত দুটি পদ্ধতিতে চিকিৎসা করা হয়। প্রথমদিকে মুখে খাওয়ার ব্যথানাশক ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়।
এতে কাজ না হলে চিকিৎসকরা হিপ রিপ্লেসমেন্ট অপারেশনের পরামর্শ দেন। তবে অতি সম্প্রতি কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, প্রাথমিক বা মাঝামাঝি পর্যায়ে হিপ জয়েন্টের অস্টিওআর্থ্রাইটিস দেখা দিলে সেখানে প্লাটিলেট রিচ প্লাজমা বা পিআরপি ইনজেকশন প্রয়োগ করা হলে তা হিপ জয়েন্টের রিজেনারেশন করতে সাহায্য করে। পরবর্তী সময়ে ব্যায়ামের মাধ্যমে হিপ জয়েন্ট তার স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরে আসতে পারে।