‘হাই ভোল্টেজ’ কেন্দ্রে বিস্ফোরণ মমতার
কলকাতা টাইমস :
চলতি বছরের ১ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গে দ্বিতীয় দফার ভোট। এবার জঙ্গলমহলের তিন জেলা- পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়ায় ভোট রয়েছে মোট ২৭টি আসনে। জানা গেছে, এই দফায় ভোট হবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৪টি আসনেও।
দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে প্রচারের শেষ লগ্নে সে কারণে নিজেদের শক্তি উজাড় করে দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। এবার ভোট হবে এবারের নির্বাচনের সবচেয়ে ‘হাই ভোল্টেজ’ কেন্দ্র পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে।
ওই কেন্দ্র এবার পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের সমস্ত আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। ওই কেন্দ্রেই এক দিকে প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। অন্য দিকে, তাঁরই প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছেন বিজেপির প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে সে কারণে গত কয়েক দিন ধরেই পূর্ব মেদিনীপুরের নানা প্রান্তে প্রচার চালিয়েছেন দু’জনেই।
শেষ সময়ে এসে প্রচারের ধার আরো বাড়াতে চলেছে দুই প্রতিপক্ষই। মঙ্গলবার ভাঙাবেড়া শহীদ বেদী থেকে সোনাচূড়া বাজার পর্যন্ত রোড-শো করেছেন মমতা। তিন কিলোমিটার হুইলচেয়ার করেই ঘোরেন তৃণমূল নেত্রী। সোনাচূড়ায় একটি জনসভা করেন তিনি।
মমতা বলেছেন, ৪৮ ঘণ্টা মাথা ঠান্ডা। ভালো করে ভোটটা করে নিন। তার পরে পান্ডাদের অধিকার কীভাবে কাড়তে হয় বাংলার মানুষ তা ভালোভাবে জানেন।
তিনি আরো বলেছেন, পুলিশ অত্যাচার করছে জানি। বাইরে থেকে পুলিশ নিয়ে দালালি করতে এসেছে। ভয় পাবেন না। ওরা ক’দিন। তার পর তো পগার পার। তার পর তো আপনারাই থাকবেন। কেন চিন্তা করছেন।
মমতা আরো বলেছেন, টাকা দিলে খেয়ে নেবেন। শাড়ি দিলে পর্দা বানিয়ে নেবেন। বিজেপিকে নন্দীগ্রাম থেকে বাংলা পর্যন্ত একেবারে বোল্ড আউট করে দিন। যারা গুন্ডামি করছে তাদের রাজনৈতিকভাবে কবর দিন।
তিনি আরো বলেন, আমি যখন একবার ঢুকেছি, আর বেরোচ্ছি না নন্দীগ্রাম থেকে। নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করব, কেন বিহার উত্তরপ্রদেশের গুন্ডাদের এখানে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। বিহার, উত্তরপ্রদেশ থেকে গুন্ডাদের নিয়ে আসছে। কেউ ভয় দেখালে ভয় পাবেন না। আমার কাছে খবর আছে নিজেদের একটা মেয়েকে খুন করবে। তার পর তৃণমূলের উপর দোষ চাপাবে। দাঙ্গা লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে।