১২ বছরেও ফেল ‘ডাক্তারের’ হাতে শেষ
কলকাতা টাইমস :
১২ বছরেও ডাক্তারি পাস করতে না পারা ‘ডাক্তারের’ হাতে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। কেরলের কোঝিকোড জেলার কোট্টকাদাভুর টিএমএইচ হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটেছে। এক বৃদ্ধ রোগীর হৃদরোগের চিকিৎসা করেছিলেন তিনি। ভুল চিকিৎসার ফলে রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। এদিকে, মৃতের ছেলে অশ্বিন বিনোদও পেশায় চিকিত্সক। পঞ্জাবের চণ্ডীগড়ের একটি হাসপাতালে কর্মরত তিনি। অভিযোগ, গত ২৩ সেপ্টেম্বর রেসিডেন্ট মেডিক্যাল অফিসার সেজে অভিযুক্ত ভুয়ো চিকিৎসক আবু আব্রাহাম লুক তাঁরা বাবার চিকিত্সা করেছিলেন। বিনোদ জানান, তখন তিনি হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলেন। ফোনে আব্রাহামের কাছে খোঁজখবর নিয়েছিলেন। তবে আব্রাহাম তাঁকে জানিয়েছিলেন, রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসতে দেরি হয়ে গিয়েছিল।
এরপরই চিকিৎসায় গাফিলতি রয়েছে বুঝতে পেরে বিনোদ আব্রাহামের বিষয়ে খোঁজখবর নেন। তখন তিনি জানতে পারেন তাঁর বাবাকে কোনও জীবনদায়ী ওষুধ দেওয়া হয়নি। আরও জানতে পারেন যখন হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সেই সময় সিপিআর শুরু করা হয়েছিল। আগে দেওয়া হয়নি। পরে বিনোদ আরও জানতে পারেন অভিযুক্ত ১২ বছরেও এমবিবিএস পাশ করতে পারেননি। এই ঘটনায় মৃতের পরিবার হাসপাতাল এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির দায়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তার বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামাল রুজু করে।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই তারা খতিয়ে দেখে জানতে পারেন লুকের এমবিবিএস ডিগ্রি নেই।