৩৩ বছর পর পাস করিয়ে দিল করোনা!
কলকাতা টাইমস :
ধৈর্যের বাঁধ কারো কারো এমন শক্ত হয় যে ভাঙা মুশকিল। ভারতের হায়দরাবাদের মোহাম্মদ নুরুদ্দিন কী দিয়ে তার মনে ধৈর্যের বাঁধ বানিয়েছিলেন কে জানে! ৩৩ বছর ধরে তিনি ক্লাস টেনের পরীক্ষায় পাস করতে পারেননি। কিন্তু হাল ছাড়েননি। লোকজন আশপাশ থেকে অনেক রকম কথা বলেছে। কেউ কেউ তাকে মানসিক বিকারগ্রস্থ বলতেও ছাড়েনি। তবে তিনি এসবে কান দেননি কোনো দিন।
তার সাফ কথা, পাস না করা পর্যন্ত হাল ছাড়ছি না। কথায় বলে, বাহাদুরের সঙ্গে থাকে ভাগ্য। এবার সেই কথা সত্যি বলে প্রমাণ পেলেন ৫১ বছর বয়সী মোহাম্মদ নুরুদ্দিন। শেষমেশ পাস করলেন তিনি। করোনাই পাস করিয়ে দিল তাকে।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে নুরুদ্দিন বলেছেন, ‘১৯৮৭ সাল থেকে লাগাতার ক্লাস টেনের পরীক্ষা দিচ্ছি। আমি ইংরেজিতে খুব কাঁচা। তাই এত বছর ধরেও পাস করতে পারছিলাম না। এবার করোনা বাঁচিয়ে দিল। আমি পাস করেছি। আসলে সরকার এবার পরীক্ষায় ছাড় দিয়েছে। জানানো হয়েছিল, এবার এই পরিস্থিতিতে সবাইকে পাস করিয়ে দেওয়া হবে। তাই আমিও এই সুযোগে পাস করে গেলাম। আমাকে অনেকে অনেক কথা বলেছে। তবে আমি ঠিক করেছিলাম, পাস করেই ছাড়ব। না হলে লোকে আমাকে ক্লাস টেন ফেল বলত।’
করোনার জেরে এই বছর সব এলোমেলা হয়েছে। সব রাজ্যের বোর্ডের পরীক্ষায়ই এ পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে। পরীক্ষা যেমন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল, তেমনই রেজাল্ট প্রকাশেও দেরি হয়েছে। এমনকি অনেক রাজ্যেই বোর্ড পরীক্ষা বাতিল করতেও বাধ্য হয়েছে। ফলে প্রশাসন এবার সব ছাত্র-ছাত্রীকেই পাস করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আর এমন অবস্থায় অনেকেরই লাভ হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন নুরুদ্দিন। তিনি এবার পাস করতেন কি না তা বলা মুশকিল। তবে করোনা তাঁর কাছে শাপে বর হয়েই এলো।