কোল্ড ড্রিংকের সোনা ২২ বছর পর
কলকাতা টাইমস:
সেই ২০০১ সালে ঠান্ডা পানীয়ের বোতল কিনেছিলেন। তার মধ্যে একটি বোতলের ঢাকনার তলা থেকে মিলেছিল কুপন। তাতেই সোনা জিতেছিলেন তিনি। কিন্তু হাজার চেষ্টা সত্ত্বেও রিটেলার, এমনকী পানীয় সংস্থায় দরবার করেও মেলেনি সেই পুরস্কার। বিরক্ত হয়ে নিজের অধিকার বুঝে নিতে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে মামলা ঠুকেছিলেন শ্যাম লাভানিয়া। সেই মামলাতেই ২২ বছর পর জয় পেলেন তিনি। প্রতিশ্রুতি মতো শ্যামকে পঞ্চাশ গ্রাম সোনা অবিলম্বে দেওয়ার জন্য পানীয় প্রস্তুতকারক সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছে ক্রেতা সুরক্ষা আদালত । সঙ্গে ৫ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে পানীয় প্রস্তুতকারক সংস্থাকে।
৫২ বছর বয়সি শ্যাম লাভানিয়া উত্তরপ্রদেশের মথুরার বাসিন্দা। তাঁর একটি ছোট রেস্তোরাঁ রয়েছে। ২০০১ সালের ২৮ এপ্রিল ছেলের জন্মদিন উপলক্ষে ১৯৮০ টাকার ঠান্ডা পানীয় কিনেছিলেন শ্যাম। এগুলির মধ্যে একটি বোতলের ঢাকনার তলা থেকে মেনে একটি কুপন। তাতে লেখা ছিল, ৫০ গ্রাম সোনা জিতেছেন তিনি।
সেই সোনা পাওয়ার জন্য রিটেলার, হোলসেলার, এমনকী, সংস্থার অফিসে গিয়েও দেখা করে কথা বলেন তিনি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। এরপর নিজের অধিকার বুঝে নিতে জেলা স্তরের ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। সব ঘটনা জানার পর ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের তরফে পানীয় প্রস্তুতকারক সংস্থাকে শ্যামকে ওই পুরস্কার দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
কিন্তু সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে জেলা স্তরের আদালতে যায় সংস্থাটি। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সাক্ষপ্রমাণের ভিত্তিতে সমস্ত ঘটনা খতিয়ে দেখে ক্রেতা সুরক্ষা আদালত। উল্লেখ্য, সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছিল, ওই অফার ভ্যালিড ছিল ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত, যে সময়ের মধ্যে পুরকারের দাবি করেননি শ্যাম। কিন্তু ঠান্ডা পানীয় কেনার বিল, সোনা পাওয়ার কুপন, এমনকী, হোলসেলারের সঙ্গে দেখা করার জন্য ২০০১ সালের ৩০ এপ্রিল আগ্রা যাওয়ার যাবতীয় খতিয়ান আদালতে পেশ করেন শ্যাম। তারপরেই চলতি বছরের ১১ এপ্রিল আদালত আগামী ৩0 দিনের মধ্যে শ্যমকে ৫০ গ্রাম সোনা, অথবা তার বর্তমান বাজার মূল্যের সমতুল্য টাকা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয় পানীয় প্রস্তুতকারী সংস্থাকে। পাশাপাশি, শ্যামের এত বছরের মানসিক হেনস্থা এবং শারীরিক পরিশ্রমের জন্য ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় সংস্থাটিকে।