কেউ ফ্ল্যাট তো কেউ আশ্রমে, নিরাশ্রয় রাহুলকে আশ্রয়
কলকাতা টাইমস :
সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে রাহুল গান্ধীর। বাংলো ছেড়ে দেওয়ার নোটিসও ধরানো হয়েছে তাঁকে । ২২ এপ্রিলের পর প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা কোথায় থাকবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ, রাহুলের নিজের কোনও বাড়ি বা ফ্ল্যাট দিল্লিতে নেই । এলাহাবাদে রাহুলদের পৈত্রিক বাড়ি ‘আনন্দভবন’ বহু বছর ধরে সরকারি সম্পত্তি। এক কংগ্রেস নেতার কথায়, গত বছর উদয়পুরে দলের চিন্তন শিবিরে ঘরোয়া আড্ডায় রাহুল হাসতে হাসতে বলেন, আমার ৫২ বছর বয়স হয়ে গেল, এখনও দিল্লিতে নিজের একটা বাড়ি, ফ্ল্যাট নেই।
রাহুলের নিজেই নিজেকে মনে মনে প্রশ্ন করছেন , ২২ এপ্রিলের পর কোথায় থাকবেন তিনি। এই অবস্থায় ১০ জনপথে মা সোনিয়া গান্ধির র বাংলোতেই তাঁর ওঠার সম্ভাবনা । কংগ্রেস সূত্রে খবর, দলের অনেক নেতাই প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির থাকার জায়গার দায়িত্ব নিয়ে চেয়েছেন। তাঁদের অন্যতম কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। তাঁর বাংলোয় থাকার জন্য রাহুলকে বিশেষ অনুরোধ করেছেন কংগ্রেস সভাপতি।
এদিকে, দিল্লির এক মহিলা এআইসিসির দফতরে লিখিতভাবে জানিয়েছেন, দলনেতা রাহুলের থাকার জন্য দিল্লিতে তাঁর চার কামরার একটি ফ্ল্যাট দিতে চান। ফ্ল্যাটটি ফাঁকাই পড়ে আছে। মহিলা দিল্লির কংগ্রেস সেবাদলের একজন কর্মী।
তবে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ আমন্ত্রণটি এসেছে অযোধ্যার প্রখ্যাত তীর্থক্ষেত্র হনুমানগড়ি মন্দিরের মহন্ত সঞ্জয় দাসের কাছ থেকে।সঞ্জয় দাস হনুমানগড়ির প্রধান পুরোহিত মোহন্ত জ্ঞান দাসের উত্তরসূরি। সংকটমোচন সেনার জাতীয় সভাপতিও এই মোহন্ত সঞ্জয় দাসই। তিনি এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন,”অযোধ্যার মোহন্তদের তরফে আমরা রাহুল গান্ধীকে স্বাগত জানাচ্ছি। উনি এখানে এসে প্রার্থনা করলে করতেই পারেন। শুধু তাই নয়, এখানে অনেক আশ্রম আছে। রাহুল গান্ধী চাইলেই কোনও আশ্রমে এসে থাকতে পারেন। আমরা খুশিই হব।”