জলের কারণে ভাঙল বিয়ে, বিমান কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা মহিলার

দীর্ঘ বিমান যাত্রায় পর্যাপ্ত জল না পাওয়ার অভিযোগে এমিরেটস এয়ারলাইনসের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক অস্ট্রেলীয় মহিলা। অভিযোগে বলা হয়েছে, জল না পাওয়ায় বিমানের ভেতর তাঁর মাথা ঘোরায় এবং বমি পায়। একপর্যায়ে, বাথরুমে গিয়ে পায়ে আঘাত পেয়ে আহত হন। এতে বিয়ে ভেঙে যায় তাঁর।
লিনা ডি ফালকো নামের ৫৪ বছর বয়সী ওই মহিলা অস্ট্রেলিয়ান ভিক্টোরিয়া স্টেটের সুপ্রিম কোর্টকে বলেন, ২০১৫ সালের মার্চে তিনি এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি বিমানে মেলবোর্ন থেকে দুবাই যাচ্ছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ যাত্রায় তাঁকে পর্যাপ্ত জল না দেওয়ায় বারবার আসন থেকে উঠে জলের জন্য অনুরোধ করতে হয়। এতে দুর্ঘটনাবশত পায়ে আঘাত পান তিনি। তাঁর পায়ের গোড়ালির হাড় ভেঙে যায়।
ডি ফালকো বলেন, বিমানটি উড্ডয়নের এক ঘন্টারও বেশি সময় পর খাবারের সঙ্গে তাঁকে মাত্র এক গ্লাস জল দেওয়া হয়, যা যথেষ্ট ছিল না। তিনি বলেন, বিমানের ভেতর তাঁর মাথা ঘুরছিল। এ সময় তিনি চারবার পানি চেয়েছিলেন। একপর্যায়ে তাঁকে বাথরুমে যেতে হয়। এতে তিনি দুর্বল হয়ে পড়েন এবং হাঁটতে গিয়ে পায়ের গোড়ালিতে আঘাত পান।
ছুটি শেষে অস্ট্রেলিয়ায় ফিরলে নিজের কর্মস্থল মুনি ভ্যালি সিটি কাউন্সিলকে বলেন তাঁর গোড়ালির হাড় ভেঙে গেছে। এরপর তাঁর পায়ে অস্ত্রোপচার চালাতে হয়। এতে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে কর্মস্থলে ফিরতে পারেননি।
এ ঘটনায় এমিরেটসের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ডি ফালকো। নিজের হতাশার কথা প্রকাশ করে ফালকো বলেন, ‘দুর্ঘটনার কারণে আমি ঘরের কাজ করতে পারছিলাম না। এতে আমার বিয়ে ভেঙে যায়।’ তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনার আগে আমি ছিলাম সুখি মানুষ, ছিল যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস। এখন সব শেষ।’
ফালকোর আইনজীবী বলেন, আমার ক্লায়েন্টের সবসময় জল লাগে। অন্তত দিনে এক লিটার এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক লিটার। তিনি বলেন, ১৫ মার্চ বিমানে ভ্রমণের দিন তাঁর কাছে জলের বোতল ছিল। কিন্তু তা ভেতরে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
বিমান কম্পানির প্রতিনিধিত্বকারী জন রিব্যান্ডস আদালতে বলেন, বিমানটির যাত্রীদের ব্যবহারের জন্য জলের ঝরনা ছিল। তবে ডি ফালকো বলছেন তিনি তা দেখতে পাননি।