অপকীর্তি : নিজের ছেলে-মেয়েকেই বিয়ে করে জেলে
কলকাতা টাইমস :
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমার এক মহিলা আইনি বেড়াজাল ডিঙিয়ে নিজের ছেলে ও মেয়েকে বিয়ে করে আলোচনায় এসেছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের জানায়, জৈবিক সম্পর্ক থাকলেও আইনি সমস্যা হবে না এমন কথা বুঝিয়ে নিজের মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন চুয়াল্লিশ বছর বয়সী প্যাট্রিসিয়া স্প্যান।
অবশ্য ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পরই মা ও মেয়ে দু’জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্যাট্রিসিয়ার দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। বিবাহ বিচ্ছেদের পর তার ৩ সন্তানকেই নিয়ে যায় তাদের দাদি। ফলে তাদের সঙ্গে আর যোগাযোগ ছিল না প্যাট্রিসিয়ার।
কিন্তু বছর দুয়েক আগে মেয়ে মিস্টি স্প্যানের সঙ্গে যোগাযোগ হয় প্যাট্রিসিয়ার। মেয়ের বয়স তখন ২৬ বছর। এরপর দু’জনে বিয়ে করে একসঙ্গে থাকা শুরু করেন। তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও গড়ে ওঠে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
কিন্তু মা ও মেয়ের বিয়ের ঘটনা শিশুকল্যাণ দফতরের কাছে পৌঁছালে শুরু হয় তদন্ত। সেখানে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য।
তদন্তকারীদের প্যাট্রিসিয়া জানান, মেয়ের জন্ম সনদে মা হিসাবে তার নাম নেই। সুতরাং তাদের এই সম্পর্কে কোনও সমস্যাই হতে পারে না! প্যাট্রিসিয়ার দাবি ঠিক কিনা তা খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। দেখা যায় মেয়ের জন্ম সনদে জন্মদাত্রী হিসেবে দাদির নাম রয়েছে! শুধু তাই নয়, প্যাট্রিসিয়া তার পদবীটিও বদলে ফেলে অ্যান ক্লেটন করে নেন ম্যারেজ সার্টিফিকেটে। সেখানে তিনি দেখান প্রতিবেশী কাউন্টির মেয়ে মিস্টিকে বিয়ে করছেন! এখানেই শেষ নয়! আরও চমক অপেক্ষা করছিল তদন্তকারীদের জন্য। মিস্টিই প্রথম নয়, এর আগে ২০০৮ সালে নিজের ১৮ বছরের ছেলেকেও বিয়ে করেছিলেন ঠিক একই ভাবে।
অবশ্য ২০১০ এ মায়ের বিরুদ্ধে ‘ভুল বুঝিয়ে শারীরিক সম্পর্ক’ করার অভিযোগ আনে সেই ছেলে। পরে মিস্টিও প্যাট্রিসিয়ার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ আনেন। কিন্তু এই ধরনের সম্পর্ক কেন গড়ে তুলতেন প্যাট্রিসিয়া তা নিয়ে এখনও আঁধারে তদন্তকারীরা।