১৪ মাস পরে ‘বন্দিদশা’ কাটতেই প্রথম এই কাজ করলেন মেহবুবা মুফতি
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি মুক্তি পেয়েছেন। প্রায় এক বছরের বেশি সময় পর তাকে মুক্তি দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। আর মুক্তি পেয়েই দলের কিছু ঘনিষ্ট বেক্তিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মেহবুবা।
গত বছরের ৫ আগস্ট মেহবুবা মুফতিকে আটক করা হয়। তারপর থেকেই বন্দি ছিলেন পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (পিডিপি) প্রেসিডেন্ট মেহবুবা মুফতি। সে সময় ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়া হয়।
মায়ের মুক্তি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করেছিলেন মেহবুবার মেয়ে। তার মুক্তির বিষয়টি টুইট করে জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীর সরকারের মুখপাত্র রোহিত কানসাল।
গত ৫ আগস্ট কাশ্মীরে তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ, ওমর আবদুল্লাহ এবং মেহবুবা মুফতিসহ কাশ্মীরের বহু রাজনীতিককে আটক করে কেন্দ্রীয় সরকার।
চলতি বছরের শুরুতে ওমর আবদুল্লাহ, ফারুক আবদুল্লাসহ কয়েকজনকে মুক্তি দেওয়া হলেও মেহবুবাকে গৃহবন্দি করেই রাখা হয়।
বার বার নানা কারণ দেখিয়ে তার গৃহবন্দির সময়কাল বাড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। গত জুলাইয়ে তিন মাসের জন্য মেহবুবার গৃহবন্দির সময় বাড়িয়েছিল প্রশাসন।
৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর মেহবুবাকে প্রথমে দু’টি সরকারি বাসস্থানে আট মাস গৃহবন্দি করে রাখা হয়। তারপর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাকে ফের আটক করা হয়।
পরে তার বাসভবন ‘ফেয়ার ভিউ’য়ে স্থানান্তরিত করা হয়। সেই বাসভবনকেই অস্থায়ী জেলে পরিণত করা হয় এবং সেখানেই গৃহবন্দি করে রাখা হয় এই নেত্রীকে।
তাকে কোন যুক্তিতে আটকে রাখা হয়েছে এ বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন মেহবুবার মেয়ে ইলতিজা। গত সেপ্টেম্বরে ওই মামলার শুনানি ছিল।
তখন আদালত সরকারের কাছে জানতে চেয়েছিল কতদিন মেহবুবাকে তাদের হেফাজতে রাখা হবে। এ বিষয়ে দু’সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে জবাবদিহি করতে বলে আদালত। তারপরই মুক্তি দেওয়া হলো মেহবুবাকে।
তার মুক্তির কিছুক্ষণের মধ্যেই ইলতিজা এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘মেহবুবাকে অনৈতিকভাবে আটক করা হয়েছিল। অবশেষে তিনি মুক্তি পেলেন। এই সঙ্কটময় মুহূর্তে যারা পাশে থেকেছেন, লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য সাহস জুগিয়েছেন তাদের সকলের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’