স্ত্রী প্রজাতিকে মিলনে আকৃষ্ট করতে পুরুষের গোপন গন্ধ!
প্রাণীদের পুরুষ প্রজাতি এক অদৃশ্য রাসায়নিক নির্যাস নির্গত করে। এর প্রভাবেই স্ত্রী প্রজাতি মিলনে আগ্রহী হয়ে ওঠে। তবে এই নির্যাস পুরুষ প্রজাতিকে অনেক আগেই বুড়ো বানিয়ে দেয়। নতুন এক গবেষণায় এসব তথ্য দেওয়া হয়েছে।
পরীক্ষায় ইঁদুর এবং গোলকৃমির মধ্যে এমন প্রমাণ মিলেছে। কিন্তু এটা প্রাণী জগতের সার্বজনীন বৈশিষ্ট্য হতে পারে। এখানে মানুষও রয়েছে বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। তবে এই বিশেষ সময়ে যে পুরুষদের উপস্থিত থাকতে হবে এমন কোনো কথা নেই। দুটো পুরুষ খুব অল্প পরিমানে ফেরোমোন ছড়িয়ে দিলেই তা দীর্ঘস্থায়ী হয়।
আমেরিকান নর্থওয়েস্টর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. ইলিয়া রুভিনস্কি জানান, পুরুষ প্রজাতি এমনভাবে গন্ধ ছড়িয়ে দেয় যেন তারা স্ত্রীদের বোঝায়, এর পেছনে ছুটতে থাকো। মূলত মিলন এবং আরো বেশি বংশবৃদ্ধির জন্যই এ গন্ধ ছড়ানো হয়। কিন্তু এ কাজ করতে গিয়ে পুরুষদের বেশ ভোগান্তি রয়েছে।
অবশ্য পুনরুৎপাদন এবং দেহের যত্নের বিষয়ে দারুণ ভারসাম্য স্থাপন করতে পারে পুরুষ। এক ধরনের ফেরোমন স্ত্রীদের অগ্রিম বয়ঃসন্ধিকালের জন্য দায়ী থাকে। অন্য এক ধরনের ফেরোমন পুরুষের পুনরুৎপাদনের পরিপক্কতার ঘোষণা দেয়। পুরুষরা অনেক বেশি দিন ধরে উর্বর থাকে। তবে এতে দেহে বয়সের ছাপ পড়ে যায়।
ড. রুভিনস্কি জানান, মামালদের মধ্যে পুরুষ প্রজাতি এই গন্ধ ছড়িয়ে স্ত্রী প্রজাতির সঙ্গে মিলনের সময় এগিয়ে আনে। প্রাণী জগতের যৌনকর্মের সময় এদিক-ওদিক কারা ক্ষেত্রেও এই গন্ধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রাণী জগতে এর বিস্তর প্রভাব রয়েছে। কাজেই বিষয়টি মানুষের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হতে পারে।
গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে কারেন্ট বায়োলজি জার্নালে। মানুষের বয়ঃসন্ধিকাল আগমনের হেরফের এবং দীর্ঘস্থায়ী উর্বরতা রক্ষার জন্য ব্যবহৃত ওষুধ তৈরির ক্ষেত্রে গবেষণাটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
এসব ফেরোমন স্ত্রীর প্রতি পুরুষের বিদ্বেষ হিসাবে ছড়ায় না। তবে লক্ষ্য অর্জন অপেক্ষা এটি ক্ষতিকারক প্রভাবই বেশি ছড়ায়।