January 18, 2025     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular

‘হাত পা বেঁধে রতান মারা হয়; পরে মাংস উঠে আসে’

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :

মালয়েশিয়ায় ডিটেনশন সেন্টারে প্রবাসীদের উপর চালানো হয় ভয়াবহ নির্যাতন৷ এক সাক্ষাৎকারে এমন তথ্য জানিয়েছেন সেখান থেকে ফিরে আসা একজন৷

সম্প্রতি মালয়েশিয়ার প্রবাসীদের শ্রমিকদের উপর নির্যাতন নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছে কাতারভিত্তিক সম্প্রচার মাধ্যম আল জাজিরায়৷ যা নিয়ে এখন মালয়েশিয়ায় তোলপাড় চলছে৷ তথ্যচিত্রটিতে সেখানকার প্রবাসীদের উপর নির্যাতনের চিত্র উঠে এসেছে৷ দেশটিতে অবস্থানরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রায়হান কবির সেখানে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন৷ এরপর থেকেই তাকে গ্রেফতারে মরিয়া মালেশিয়ার পুলিশ ও ইমিগ্রেশন বিভাগ৷ তাকে না পেয়ে তার সঙ্গীদের আটকে রাখার অভিযোগও পাওয়া গেছে৷

মালয়েশিয়ায় অবস্থান করা অন্তত দুই জন বাংলাদেশি টেলিফোনে ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, চরম আতঙ্কে তাদের দিন কাটছে৷ রায়হান কবিরের তিনজন বন্ধুকে পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে৷ এর মধ্যে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দিলেও দুইজনকে এখনো ছাড়েনি৷ রায়হান কবিরের সন্ধান দিতে তাদের উপর চাপ দেওয়া হচ্ছে৷ শুধু রায়হান কবিরের বন্ধুদেরই নয়, তার পরিচিত বাংলাদেশিদেরও ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে৷ হয়রানির ভয়ে টেলিফোনে কথা বলা ওই দুই জন নাম-পরিচয় প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়েছেন৷

চার বছর মালয়েশিয়ায় থাকার পর কিছুদিন আগে দেশে ফিরেছেন নূর মোহাম্মদ আকন্দ সোহেল৷ দেশে ফেরার আগে তিনি সেখানে চার মাস বন্দি ছিলেন৷‘ডিটেনশন ক্যাম্পের’ বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি জানান-

‘‘আমার ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আবেদন করি৷এরমধ্যেই অভিযানে আমাকে ধরে নিয়ে যায়৷ক্যাম্পে কোন দিন দুই বেলা, কোন দিন এক বেলাও খাবার দিয়েছে৷আমাদের অভিভাবক হাইকমিশনের কেউ কোনদিন খোঁজ নেয়নি৷ আমার মতো বহু বাংলাদেশি সেখানে ডিটেনশনে আছেন৷ আপনি বিশ্বাস করতে পারবেন না, এই আমলেও পৃথিবীতে এমন কোন আইন আছে যে, এক-দেড়শ’ মানুষকে উলঙ্গ করে একসঙ্গে দাঁড় করিয়ে কানধরে উঠবস করায়৷ মালয়েশিয়াতে সেটা করায়৷ সবচেয়ে বড় নির্যাতনের নাম রতান (বেত মারা)৷ আমাদের দেশে গ্রামে গরুকে যেভাবে চার পা ও মুখ বেঁধে ইনজেকশন দেওয়া হয় মালয়েশিয়ায় একইভাবে হাত পা বেধে রতান মারা হয়৷ তিন চার ফুট লম্বা, চিকন বেত দিয়ে পেছনে যখন আঘাত করে তখন চামড়া ছিড়ে ভেতরে ঢুকে যায়৷ পরে মাংসসহ উঠে আসে৷’’

সোহেলের দাবি এমন নির্যাতন বাংলাদেশিদের উপরই বেশি হয়৷ অন্য দেশের শ্রমিকদের উপর এত নির্যাতন করে না দেশটির কর্তৃপক্ষ৷

সোহেল নির্যাতনের যে বর্ণনা দিয়েছেন তার সঙ্গে আল জাজিরার তথ্যচিত্রেরও মিল পাওয়া যায়৷ প্রবাসী শ্রমিকদের উপর মালয়েশিয়ার নিপীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র উঠে এসেছে সেখানে৷ দেখানো হয়েছে, কর্মহীন ও খাবার সংকটে থাকা অভিবাসী শ্রমিকদেরকে ঘর থেকে টেনে-হিঁচড়ে ডিটেনশন ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে৷ অভিবাসী নারীদের ছোট ছোট শিশুদের থেকে আলাদা করে মারধর করা হচ্ছে৷

Related Posts

Leave a Reply