September 29, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular ব্যবসা ও প্রযুক্তি

বল দেখেই জলে ঝাঁপানোর শখেই কোটিপতি

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস : 

তজনের কত কিছুই না হওয়ার স্বপ্ন থাকে। কেউ হতে চায় ডাক্তার, কেউ বা ইঞ্জিনিয়ার। আবার কেউ স্বপ্ন দেখেন পাইলট হয়ে দুনিয়া ঘুরে বেড়ানোর। কিন্তু গ্লেন বার্গারের অদ্ভুত স্বপ্ন। খেলায় পারদর্শী না হলেও বল সংগ্রহে পারদর্শিতা রয়েছে তার। গল্পটা একটু খুলে না বললে বোঝা বড় দায়। বার্গার তখন বেকার। কিছুতেই সে বুঝতে পারছে না কোন কাজ করলে সে আনন্দও পাবে, টাকাও রোজগার হবে। বার্গারের সমস্যা, গল্ফ ছাড়া তার আর কোনোকিছু ভালো লাগতো না। সারাদিন বসে থাকতো গল্ফ কোর্সে। তবে খেলোয়াড় হওয়ার আশায় না, পুকুরে ডুব দিয়ে বল সংগ্রহ করা।

খেলোয়াড়রা অনেক সময় প্র্যাকটিস, টুর্নামেন্টে গল্ফ বল মেরে কোর্সের বাইরে পাঠিয়ে দিত। বলটা গিয়ে পড়ত পুকুর, খাল বা নদীতে। বার্গার ঠিক বলের নেশায় ঝাঁপ দিত পুকুর, ডোবা, হ্রদ, নদীতে। সারাদিন সেসব বল নিজের কাছে সংগ্রহ করতে লাগল। ধীরে ধীরে বল সংগ্রহ করার নেশা হলো তার। ফ্লোরিডা, ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাসের সব বাঘাবাঘা গল্ফ কোর্সের পুকুর/ডোবা/হ্রদে ঝাঁপ দিয়ে বল সংগ্রহ করতে লাগল সে। টাইগার উডস তখন মধ্যগগণে। টাইগারের গল্ফ স্টিকের ঘায়ে কতগুলো বল উড়ে গিয়ে পড়ল পুকুরে। বার্গার খেলা শেষে সেসব বল সংগ্রহ করতে ঝাঁপ দিত পুকুরে। অনেক সময় জলে বল কুড়াতে গিয়ে সাপ, কুমিরের সঙ্গেও সাক্ষাত্‍ হয়েছে তার।

এমন করতে করতে ১৪ বছর পেরিয়ে গেল তার। ২৬-এর যুবক বার্গার এখন চল্লিশে পা দিয়েছে। এদিকে বার্গারের ঝাঁপিতে তখন সংগ্রহের লাখ লাখ গল্ফ বল। প্রতিটা গল্ফ বলের ইতিহাসটাও বেশ মজার। কোনোটা টাইগার উডসের মারা বল, কোনোটা ররি ম্যাকলরয়ের। বার্গার সেসব বল বিক্রি করতে শুরু করলেন। ক’দিনের মধ্যেই সে লাখপতি হয়ে গেল। প্রতিবছর সে প্রায় দেড় লাখ বল জল থেকে সংগ্রহ করে। মাঝে মাঝে সেসব বল গল্ফ ক্লাবে ফিরিয়ে দিয়ে বলপিছু ২ ডলার করে নেয়। এতে তার মাসিক রোজগারও বেড়ে যায়। দুনিয়াটা ভারী অদ্ভুত। কত রকম কত কাজে। আসলে ভালোবেসে কোনো কাজ করলে পর্বতেও ফুল ফোটানো যায়।

Related Posts

Leave a Reply